Feature

খাবারের প্যাকেটের গায়ে রঙিন গোল চিহ্ন থাকে কেন জেনে রাখা জরুরি

দোকান থেকে কোনও খাবারের প্যাকেট কিনলে তার একটা কোণায় গোল চিহ্ন থাকে। এই চিহ্ন দিয়ে গ্রাহককে একটি বিষয় জানানো হয়। কি তা জেনে রাখা জরুরি।

অধিকাংশ খাবারই এখন প্যাকেটজাত। সে চিপসের প্যাকেট হোক বা কেক, চানাচুর হোক বা অর্ধেক তৈরি করা মাংসের সুস্বাদু খাবার। সব ধরনের প্যাকেটজাত খাবারের প্যাকেটের একটা কোণা বা কোথাও একটি চিহ্ন স্পষ্ট নজর কাড়ে।

যা একটি চৌকো দাগের মধ্যে থাকে। রং হয় খয়েরি অথবা সবুজ। এই রঙিন গোল যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবেন ওই প্যাকেটেবন্দি খাবারের একটি বিশেষ দিক সম্বন্ধে।

ভারত এমন এক দেশ যেখানে বহু মানুষ নিরামিষাশী। আবার আমিষ খেতে পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই একটি প্যাকেটবন্দি খাবার কেনার পর বুঝে উঠতে নাও পারেন যে তা সম্পূর্ণ আমিষ না নিরামিষ।

যেমন কেক তৈরি করতে ডিম লাগে। আবার ডিম ছাড়াও কেক হয়। তা নিরামিষ কেক। ক্রেতাদের এই খাদ্যাভ্যাসের কৌলীন্য যাতে নষ্ট না হয় সেকথা মাথায় রেখেই প্যাকেটবন্দি খাবারে চিহ্ন দিয়ে দেওয়া হয়।

আইনত প্যাকেটে সবুজ গোল দাগ থাকা মানে সেই প্যাকেটবন্দি খাবার সম্পূর্ণ নিরামিষ। তাতে আমিষের লেশমাত্র নেই। আর প্যাকেটে যদি খয়েরি গোল চিহ্ন দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই খাবার আমিষ। তাতে ডিম থাকতে পারে, মাংস থাকেতে পারে, মাছ থাকতে পারে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে টুথপেস্ট তো খাবার নয়। তা সত্ত্বেও টুথপেস্টের প্যাকেট কেন এমন চিহ্ন দেওয়ার দরকার পড়ে? এক সময় টুথপেস্টে হাড়ের নির্যাস দেওয়ার প্রবণতা ছিল।

যা যে কোনও নিরামিষাশী মানুষের জন্য নয়। টুথপেস্ট নিরামিষ উপাদান দিয়েই তৈরি কিনা তা নিশ্চিত করে ক্রেতাকে জানাতে টুথপেস্টের ওপরও চিহ্ন দেওয়া হয়।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *