প্রবল বৃষ্টিতে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে উত্তরখণ্ডে অবস্থা। চাম্বা-হৃষীকেশ ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও চামোলি-বদ্রিনাথ ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক ২টি ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর বড় চাপ পড়েছে। অনেক জায়গায় আটকে আছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই কেদারনাথ ও বদ্রিনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২দিন আগে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন উত্তরাখণ্ডে। যার মধ্যে পিথোরগড়েই প্রাণ হারান ২৫ জন। প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে নেমে আসা জঙ্গল ও ধসে বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। রাস্তা সাফ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু বৃষ্টির জেরে কাজ অনেক সময়েই ব্যাহত হচ্ছে। শুধু উত্তরাখণ্ড বলেই নয়, লাগোয়া রাজ্য হিমাচল প্রদেশেও প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবন ব্যাহত। সিমলা-দিল্লি হাইওয়ে ধস নামায় বন্ধ হয়ে গেছে। ধসের সময় এখান দিয়ে একটি গাড়িতে ৫ জন যাচ্ছিলেন। সেই সময় পাহাড় থেকে একটি বিশাল পাথর গড়িয়ে গাড়ির ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই ১ জনের মৃত্যু হয়। অন্য ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের অবস্থা আরও ভয়ংকর করে তুলেছে এখানকার নদীগুলি। প্রবল বৃষ্টিতে প্রতিটি নদীই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রও। মুম্বই শহরই প্রায় অচল হতে বসেছে। বেড়েছে জোয়ারের দাপট। জোয়ারের জেরে সমুদ্রের ঢেউ গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে আছড়ে পড়ছে রাস্তায়। দাদর, মাতুঙ্গার মত নিচু এলাকা টানা ২ দিনের বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গেছে। মুম্বইয়ের লাইফলাইন হিসাবে প্রসিদ্ধ লোকাল ট্রেন চলাচল একদম বন্ধ না হলেও চলছে খুব কম। যেগুলো চলছে সেগুলোরও সময়ের কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। এদিকে আবহাওয়া দফতর আগামী ২ দিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে আগামিকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে মুম্বই অচল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে মহারাষ্ট্রের যেসব এলাকা এবারের গ্রীষ্মে ভয়াবহ জলাভাবে কাটিয়েছে, খরায় শুকিয়ে গেছে জমি, সেখানকার মানুষজন টানা বৃষ্টিতে বেজায় খুশি। গ্রামগঞ্জ তো বটেই খুশি ধরা পড়েছে পুনে, নাসিকের মত বড় শহরেও। এদিকে বর্ষার বৃষ্টিতে বেজায় খুশি দিল্লিবাসী। টানা বৃষ্টি দিল্লির তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নামিয়ে দিয়েছে। যা অবশ্য দিল্লিবাসীর জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে।
