SciTech

পৃথিবীতে যে জল দেখা যাচ্ছে তা তৈরি হয়েছিল সূর্য তৈরির আগেই

সূর্য তৈরির পরই তো পৃথিবী এল। কিন্তু পৃথিবীর জল তার আগেই তৈরি হয়েছিল। সেই বিপুল জলরাশিই এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

সূর্যের আগেই পৃথিবীর জল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হল পৃথিবীটাই তো ছিলনা! তাহলে তার জল তৈরি হল কীভাবে? এর উত্তর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেটা কীভাবে সম্ভব হল তা তাঁরা পরিস্কার করেছেন।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখন যে জল পান করা হচ্ছে, প্রাত্যহিক জীবনে কাজে লাগছে তা তৈরি হয়েছিল সূর্যেরও জন্মের আগে। আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে টেলিস্কোপ কাজে লাগিয়ে এই নতুন এক তত্ত্ব সামনে এনেছেন বিজ্ঞানীরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একটি নক্ষত্র তৈরি হওয়ার দিকে নজর দিতে বিষয়টি তাঁদের কাছে পরিস্কার হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন ওই টেলিস্কোপের সাহায্যে তাঁরা ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র জন্ম নেওয়ার পর তার চারধারে যে বলয় তৈরি হয়েছিল তার দিকে নজর দিতে সেখানে তাঁরা গ্যাসের আকারে জলের সন্ধান পান।

নক্ষত্র তৈরির আগে সেখানে এক বিশাল গ্যাস ও ধুলোর স্তম্ভ সৃষ্টি হয়। তারপর ক্রমে তা থিতিয়ে পড়তে থাকে। তার কেন্দ্রে জন্ম নেয় নক্ষত্র। আর সেই নক্ষত্রের চারধারে একটি বলয় সৃষ্টি হয়। যা থেকে গ্রহ, ধূমকেতু, গ্রহাণু তৈরি হয়।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নক্ষত্র সৃষ্টির যে গ্যাসের মেঘপুঞ্জ তৈরি হয় সেখানেই লুকিয়ে থাকে জল। তবে জল এমন এক বরফের মত আকারে থাকে যে তা সহজে নজরে পড়েনা। এই নক্ষত্র সৃষ্টির মেঘ থেকেই জল এসে পৌঁছয় গ্রহে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই যে নক্ষত্র তৈরির পর লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ক্রমে তার বলয়ে গ্রহ, ধূমকেতু, গ্রহাণু সৃষ্টি হয়, তেমনই কোনও ধূমকেতুর হাত ধরে গ্রহে সেই মেঘপুঞ্জের জল এসে পৌঁছে যায়। যা থেকে গ্রহে জল তৈরি হয়।

তাই নক্ষত্র সৃষ্টির আগেই সেখানে জলের অস্তিত্বের জন্ম দিচ্ছে এই নক্ষত্র সৃষ্টিকারী গ্যাসীয় মেঘপুঞ্জ। যা থেকে বিজ্ঞানীদের ধারনা নক্ষত্রে সৃষ্টির আগেই জল এসে পড়ে। সূর্যের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *