SciTech

সোনার গয়না তো পরছেন, জানেন এত সোনা পৃথিবীতে এল কোথা থেকে

মানব জীবনে সোনার কদরই আলাদা। সাধারণ মানুষ সোনা বলতে বোঝেন সোনার গয়না। যা তাঁরা অত্যন্ত যত্ন করে রেখে দেন। এই সোনা পৃথিবীতে এল কোথা থেকে জানেন?

পৃথিবীতে অনেক সোনার খনি রয়েছে। সেখান থেকে সোনা উত্তোলনও হচ্ছে। মাটির তলা থেকে তুলে আনা হচ্ছে সোনা। সাধারণ মানুষের কাছে সোনা মানেই গয়না। সোনাকে অন্য কোনভাবে তাঁরা বিশেষ রাখেন না। তবে যে সোনার গয়না তাঁরা রাখেন তা রাখা থাকে অতি সযত্নে।

ব্যাঙ্কের লকারে বা আলমারিতে চাবি দিয়ে সোনার জিনিস রাখা হয়। বিশ্বের সব প্রান্তেই কিন্তু সোনার কদর প্রশ্নাতীত। কিন্তু পৃথিবীর মাটির তলায় এত সোনা এল কোথা থেকে? এর উত্তর খুঁজতে পিছিয়ে যেতে হয় ৪০০ কোটি বছর আগে।

সে সময় পৃথিবীর মাটিতে একের পর এক আছড়ে পড়ছিল গ্রহাণু এবং উল্কাপিণ্ড। পৃথিবী সবে তৈরি হয়েছে। সেই সময় প্রায় ২০ কোটি বছর ধরে কার্যত সবে তৈরি হওয়া পৃথিবীর ওপর উল্কাপাত হতে থাকে। তাও হাজার হাজার।

সোনা আসে সেই উল্কাপিণ্ডের হাত ধরে। অর্থাৎ বহির্বিশ্ব থেকেই সোনার আমদানি হয় পৃথিবীতে। ওই ২০ কোটি বছরেই অধিকাংশ পরিমাণ সোনা পৃথিবীতে পৌঁছে যায়। যা সে সময় মাটির তলায় জমা হয়। তারপর মাটির তলাতেই ৪০০ কোটি বছর কাটিয়ে দেয়।

Meteorite
উল্কাপাত, প্রতীকী ছবি

এখন সেই সোনাই মাটির তলা থেকে তুলে ব্যবহার করছে মানুষ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন পৃথিবীর সৃষ্টির সময় লোহার মত ভারী ধাতুর যেমন অবদান আছে, তেমনই আছে সোনারও। যা আজ দাঁড়িয়ে আছে মানুষের কাছে এক অতি মূল্যবান ধন হিসাবে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *