National

রাহুল গান্ধী যা বলেছেন তারপর তাঁর সাংসদ থাকার অধিকার নেই, বললেন রাজনাথ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানকে বদলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’। রাহুলের এই খোঁচা সামনে আসার পরই প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে বিজেপি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, রাহুল যা বলেছেন তারপর তাঁর আর সাংসদ থাকার নৈতিক অধিকার নেই। রাহুল গান্ধীর উচিত সংসদে হাজির হয়ে এজন্য ক্ষমা চাওয়া। শুক্রবার লোকসভায় একথা বলেন রাজনাথ সিং। শুক্রবার সকাল থেকেই রাহুলের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় সংসদ। বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে বাদানুবাদ চরমে ওঠে। সকালেই একবার মুলতুবি হয় লোকসভার অধিবেশন।

রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পর বিজেপির মহিলা সাংসদরা সোচ্চার হন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাহুল গান্ধী কি তবে মানুষজনকে ধর্ষণে উৎসাহ দিতে চান? চান যে সকলে এগিয়ে আসুক এবং মহিলাদের ধর্ষণ করুক! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, এটা ভারতীয় ইতিহাসে প্রথম যে কোনও সাংসদ ভারতীয় মহিলাদের ধর্ষণ করার জন্য মানুষকে এগিয়ে আসতে বলছেন। গান্ধী পরিবারে এক সন্তান ধর্ষণের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে বলছেন।


ঝাড়খণ্ডে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার মোদী সরকারের দিকে তোপ দেগে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেক ইন ইন্ডিয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে তা এখন রেপ ইন ইন্ডিয়া হয়ে গেছে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বক্তব্য রাখার সময় মহিলাদের প্রতি বাড়তে থাকা অত্যাচারের কথা তুলে ধরতে গিয়ে রাহুল যা বলেন তা কিন্তু এখন তাঁকেই মুশকিলে ফেলল। বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু এটাকে সামনে রেখে সরাসরি আক্রমণ হানছেন রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের দিকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button