National

রাফাল বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিলেন রাহুল

রাফাল বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন একটি ই-মেলের প্রিন্ট আউট হাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। দাবি করেন, এটি থেকেই পরিস্কার যে প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সে গিয়ে ৩৬টি রাফাল জেটের যে চুক্তি করেন, তার ১০ দিন আগেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন শিল্পপতি অনিল আম্বানি। তিনি প্যারিসে গিয়ে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। রাহুলের প্রশ্ন, যে চুক্তির কথা তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করের জানা ছিলনা, যে চুক্তির কথা বিদেশ সচিব জানতেন না, হ্যাল জানত না। সেই চুক্তির কথা আগাম অনিল আম্বানি জানলেন কীভাবে?


Rahul Gandhi
দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাহুল গান্ধী, ছবি – আইএএনএস

রাহুল গান্ধী দাবি করেন, যে ই-মেলটি তাঁর সঙ্গে রয়েছে তা এয়ারবাস-এর এক আধিকারিকের লেখা। যেখানে একটি গোপন বৈঠকের উল্লেখ রয়েছে। ই-মেলটি ৩ জনকে পাঠানো হয়। যার সাবজেক্ট লাইনে লেখা ছিল ‘আম্বানি’। ২০১৫ সালের ২৮ মার্চের এই চিঠিকে তিনি একটি জোড়াল প্রমাণ বলে দাবি করেন। এই সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন রাহুল। শিল্পপতি অনিল আম্বানির একজন মধ্যস্থতাকারী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিহ্নিত করে তোপ দেগেছেন তিনি।

Rahul Gandhi
সাংবাদিকদের একটি ই-মেলের প্রিন্ট আউট দেখাচ্ছেন রাহুল গান্ধী, ছবি – আইএএনএস

আরও একধাপ এগিয়ে রাহুল দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন তা অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ভঙ্গ করার সামিল। তাই অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়া উচিত। কারণ এই চুক্তির বিষয়ে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর জানা ছিল। তাহলে অনিল আম্বানি তা জানলেন কীভাবে? রাহুল দাবি করেন, এসবের পরই অনিল আম্বানি তাঁর নতুন সংস্থা চালু করেন। যদিও এসব অভিযোগ মিথ্যা বলেই সাফ জানিয়েছে বিজেপি।



(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button