World

লজ্জা ভুলে সকলের সামনে টিশার্ট খুলে ভোট দিলেন তরুণী

নির্বাচন আধিকারিকরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে সকলের সামনেই টিশার্ট খুলে রেখে ভোট দিলেন তরুণী।

ওয়াশিংটন : ভোট চলছিল নির্বিঘ্নেই। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনী আধিকারিকরা ছিলেন। ভোটকর্মীরা ছিলেন। ছিল প্রহরার বন্দোবস্তও। আর ছিল করোনা পরিস্থিতিতে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলা। তবে ভোট এগোচ্ছিল ভালভাবেই।


এমন সময় এক তরুণী ভোট দিতে হাজির হন। তাঁর পরনে ছিল টিশার্ট। সেই টিশার্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিরো বলে দেখানো একটি ছবি ছিল।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি রাজনৈতিক টিশার্ট পড়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকা বা ভোট দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। একথা শোনার পর দ্রুত তরুণী যা করলেন তা এখন বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়ে উঠেছে।



ওই টিশার্ট পড়ে ভোট দেওয়া যাবে না শুনেই তিনি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যেই তাঁর টিশার্টটি খুলে ফেলেন। সকলের সামনেই টিশার্ট খুলে ফেলেন অক্লেশে। এদিকে টিশার্টের তলায় তাঁর কোনও অন্তর্বাস ছিলনা। ফলে কোমরের ওপর থেকে সবটাই ছিল অনাবৃত।

এমন কিছু হতে পারে সে সম্বন্ধে কোনও ধারণাই ছিলনা কারও। সকলেই চমকে ওঠেন তরুণীর কাণ্ড দেখে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তখন জনা ১৫ ভোটারও ছিলেন। তাঁরাও তরুণীকে ওই অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান।

তরুণী কিন্তু নির্বিকারভাবে ব্যালট সংগ্রহ করেন। তারপর নিজের ভোট দেন। পুরোটাই টিশার্ট খোলা অবস্থায়। তারপর ভোট দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

এমন ঘটনায় নিউ হ্যাম্পশায়ার জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। মিডিয়া রীতিমত হৈচৈ শুরু করেছে। নির্বাচনী আধিকারিক থেকে সুরক্ষাকর্মী কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না এই দৃশ্য দেখার পর তাঁদের কী করা উচিত। এক ভোটার পরে জানান এখন অনেকেই এমন একটা বেপরোয়া মানসিকতা নিয়ে চলছেন।

এক নির্বাচনী আধিকারিক জানান ওই তরুণী এমন অনাবৃত অবস্থায় আসার পর তিনি আগে দেখে নেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তখন কোনও শিশু রয়েছে কিনা। তবে তিনি আশ্বস্ত হন তখন কোনও শিশু সেখানে ছিলনা। সকলেই ছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক। যাঁরা এই দৃশ্য দেখে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে যান।

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button