National

রাস্তার নাম মোদীর নামে করা নিয়ে তর্ক, ধর থেকে মুণ্ড কেটে নিল দুষ্কৃতিরা

সদ্য বিহারের ১টি লোকসভা ও ১টি বিধানসভা আসনে ম্যাজিক দেখিয়েছে লণ্ঠন। লোকসভা আসন আরারিয়া এবং বিধানসভা কেন্দ্র জেহানাবাদ গেছে আরজেডির দখলে। অভিযোগ, জয়ের উত্তেজনায় বিহারে ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজয়ী দল। গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে রাস্তা পাল্টে দিতে চাইছে তারা। এই নিয়ে একদল যুবকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রামচন্দ্র যাদব। তিনি বিহারের বেহালা পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা তেজনারায়ণ যাদবের বাবা। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে দ্বারভাঙ্গার ভাদাহা গ্রামের একটি মোড়ের নাম রেখেছিলেন তেজনারায়ণ।

পুলিশ জানাচ্ছে, বছর ৭০-এর বৃদ্ধ গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভাদাহা গ্রামের কাছে মোড়ের নাম প্রধানমন্ত্রীর নামেই থাকা উচিত। অভিযোগ, আরজেডির সমর্থকদের দাবি ছিল, ‘নরেন্দ্র মোদী চক’ নয়, মোড়ের নামকরণ করতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের নামে। ঘটনাস্থলে সেইসময় উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধের ছোট ছেলে কমলেশ যাদব। তিনিও বাবাকে সমর্থন করে বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, বিতর্ককে কেন্দ্র করে ব্যাপক খেপে ওঠেন আরজেডি সমর্থকরা। তখনকার মত প্রসঙ্গে ইতি টেনে তাঁরা চলে যান। অভিযোগ, রাতে হকি স্টিক ও তলোয়ার নিয়ে ৪০-৫০ জন দুষ্কৃতি দল চড়াও হয় বৃদ্ধের ওপর। ব্যাপক মারধর করা হয় বৃদ্ধ ও তাঁর ছেলেকে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রামচন্দ্র যাদবের ছেলের দাবি, আচমকাই দলের একজন তলোয়ার দিয়ে বাবার মাথা কেটে শরীর থেকে আলাদা করে দেয়। এরপরেই সংজ্ঞা হারান তিনি। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিদের বিরাট গ্যাং। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃদ্ধের কাটা মুণ্ড ও ধড় উদ্ধার করে। গুরুতর জখম কমলেশ যাদবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে রাতের মধ্যেই ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পলাতক বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *