National

দক্ষিণ প্রান্তে শুরু তুষারপাত, সমুদ্রের কাছে কাশ্মীরের পরশ

উত্তরভাগে হিমালয় থাকায় সেখানে শীত মানেই তুষারপাত। কিন্তু দক্ষিণের আবহাওয়া একেবারেই আলাদা। এবার সেই দক্ষিণপ্রান্তে কাশ্মীরের তুষারপাত দেখছেন মানুষজন।

ভারতের উত্তরাংশ জুড়ে যেমন হিমালয় পর্বতমালা, তেমন বাকি ৩ দিক সমুদ্রে ঘেরা। সমুদ্র পারের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ হয়ে থাকে। সেখানে হিমালয়ের মত ঠান্ডা পড়েনা।

তাই শীতকালে ভারতের উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য অংশ যেমন হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপতে থাকে, সেখানে দক্ষিণ ভারতের অনেক অংশে বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়ায় ঠান্ডার আমেজ মোটেও থাকেনা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেখানেই এবার কেরালার একাংশে শুরু হল বরফ পড়া। সেখানে পারদ শূন্য ডিগ্রিতে নেমে গেছে। শুনে অবাক লাগলেও সেখানে বরফ দেখার আনন্দ ও আমেজি ঠান্ডা উপভোগ করতে বহু মানুষ ছুটি নিয়ে ছুটছেন। যার জেরে স্থানীয় হোটেল মালিকরা বেজায় খুশি। এই ঠান্ডা যে কটা দিন থাকে সেই কটা দিনে মনের মত লক্ষ্মী লাভের আশায় বসে আছেন তাঁরা।

কেরালার ইড্ডুকি জেলার পাহাড়ি এলাকা মুন্নার। মুন্নার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হল এই পাহাড়ি মুন্নার।

যেখানে প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর পাহাড়ের অপরূপত্ব। সেই মুন্নারের অনেক জায়গায় পারদ নামছিলই। অবশেষে তা শূন্য ডিগ্রিও ছুঁয়ে ফেলল।

মুন্নারকে বলা হয় দক্ষিণের কাশ্মীর। তা কেন বলা হয় তা এখন মুন্নারে ঘুরে এলেই জানা যাবে। মুন্নারে এখন বরফ পড়ছে। হতে পারে তা কাশ্মীরের মত পুরু বরফ নয়। তবে বরফের টুকরো অনেক কিছুর ওপর পড়ে আছে।

কিছুটা সাদা হয়ে আছে মাঠঘাট, বাড়িঘর। পারদ শূন্য হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সেখানে এবার মাইনাস ১ ডিগ্রিও ছুঁয়েছে পারদ।

ফলে মুন্নারের সবুজ গালিচা কিছুটা হলেও এখন সাদা হয়ে গেছে বরফে। আর তা দেখতেই দক্ষিণ ভারত থেকে বহু পর্যটক ছুটছেন মুন্নারের দিকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *