National

ঘুষের টাকা গায়েব করতে লঙ্কাকাণ্ড বন্দি হল ক্যামেরায়

এক পুলিশ আধিকারিক ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগে তাঁকে পাকড়াও করেন ভিজিলান্স আধিকারিকরা। তারপর যা হল তা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন সকলে।

মোষ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। তাঁর মোষ যাতে পুলিশ ফিরে পেতে সাহায্য করে সেজন্য থানায় গিয়ে চিঠি জমা দেন। অভিযোগ কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক তাঁর মোষ চুরির কিনারা করার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ চান।

চাহিদা মত ৬ হাজার টাকা শুভনাথ নামে ওই ব্যক্তি দিয়েও দেন। ভিজিলান্স আধিকারিকদের তিনি তাই জানিয়েছেন। বাকি থাকা ৪ হাজার অবশ্য দেওয়ার আগে তিনি পুলিশের ওপর মহলে অভিযোগ দায়ের করেন।


তাঁর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ভিজিলান্স আধিকারিকরা শুভনাথের পিছনে লুকিয়ে থেকে ৪ হাজার টাকা ওই পুলিশ আধিকারিককে দেওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন।


পাকড়াও হওয়া পুলিশ আধিকারিক যখন বুঝতে পারেন যে তিনি ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছেন, তখন উপায় না দেখে তিনি জোর করে হাতে থাকা টাকা মুখে পুরে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে যাতে ওই টাকা তিনি গিলে ফেলতে না পারেন সেজন্য ভিজিলান্স আধিকারিকরা তাঁকে চেপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

মুখে যাতে হাত না ঢোকাতে পারেন তিনি সে চেষ্টা চালাতে থাকেন ২ ভিজিলান্স আধিকারিক। এভাবে একসময় রাস্তায় শুয়েও পড়েন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক।

পরে টাকা খেয়ে ফেলা ওই পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে যান ভিজিলান্স আধিকারিকরা। পুরো ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই তা হুহু করে ছড়াতে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদাবাদে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button