National

ব্রা চুরি, ছাত্রীদের শরীরে হাত, মহিলা কলেজে বাইরের ছাত্রদের উপদ্রব

এ যেন এক চিরাচরিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশপাশের কলেজের ছাত্রদের উপদ্রব এক মহিলা কলেজের ছাত্রীদের কাছে কার্যত দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পড়াশোনা করতেই কলেজে আসা। সেখানে অনেক দূর দূর থেকেও ছাত্রীরা আসেন। নামকরা কলেজে পড়ার সুযোগ পেতে চান সকলেই। দূরের ছাত্রীরা থাকেন কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই লাগোয়া হস্টেলে।

কলেজে প্রতি দিওয়ালীতেই একটি মেলা হয়। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে কেবল ছাত্রীদেরই প্রবেশাধিকার থাকে।


কিন্তু বর্তমান থেকে প্রাক্তনী ছাত্রীদের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে পাশের কলেজ থেকে ছাত্ররা যখন তখন এসব অনুষ্ঠান চলাকালীন ঢুকে আসে। কখনও গাছ বেয়ে উঠে পাঁচিল টপকে ঢোকে, কখনও আবার সুরক্ষাকর্মীদের নাকের ডগা দিয়ে কলেজের গেট পেরিয়ে ঢুকে পড়ে কলেজে। গাছে চড়ে কলেজে ঢোকার ছবি পুলিশের কাছেও পৌঁছেছে।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মহিলাদের সবচেয়ে নামকরা কলেজ মিরান্ডা হাউস কলেজ। যেখানে সুযোগ পেতে চান মেধাবী ছাত্রীরা। সেখানে ছাত্রীরাই তাঁদের দুঃস্বপ্নের মত অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেন।

যেখানে কেউ জানিয়েছেন, ছাত্রদের প্রবেশ নিষেধ হলেও তাঁদের কলেজ ক্যাম্পাসে বাইরের ছাত্রদের অবাধ গতি। তারা সটান ঢুকে পড়ছে কলেজে। ছাত্রীদের শরীরে এমন সব জায়গায় স্পর্শ করছে যা তাঁদের জন্য বিভীষিকা।

একাধিক ছাত্রের এমন সব কাণ্ডের শিকার হচ্ছেন ছাত্রীরা। বারবার অভিযোগ করে কার্যত অনেক ছাত্রী হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকি এক ছাত্রীর দাবি, এক ছাত্র সোজা তাঁদের হস্টেলে পৌঁছে যায়। তারপর সেখান থেকে এক ছাত্রীর ব্রা নিয়ে তা হাতে করে কলেজে বীরের মত ঘুরে বেড়ায়। ছাত্রীদের কার্যত তারা তাদের সম্পত্তির মত মনে করে, তাঁদের সঙ্গে তেমন আচরণ করে।

এদিকে দিল্লি পুলিশের হাতে গত ১৪ অক্টোবর দিল্লির মিরান্ডা হাউস কলেজে পাঁচিল টপকে ঢোকার ছবি এসেছে। যা সামনে রেখে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button