National

মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাল অবহেলায় পড়ে থাকা ঘাস

মহিলাদের আনন্দের বার্তা বয়ে এনে দিল আপাত ব্রাত্য ঘাস। এখন ঘাসের হাত ধরেই নতুন স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। ঘাসই তাঁদের সুখে থাকার অস্ত্র।

পরিবারে দারিদ্র ছিল। মঞ্জুর স্বামী রোজগারের জন্য একটি জমি লিজে নেন। তারপর সেখানে চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু তাতে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরছিল না।


প্রথমে মঞ্জু ভেবেছিলেন যে তিনি জমিতে চাষের কাজে স্বামীর সঙ্গ দেবেন। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। মঞ্জু দেখেন তাঁদের আশপাশে প্রচুর কুশ ঘাস জন্মায়। যা দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানানো যেতে পারে।

কুশ ঘাসকে মূল উপাদান করে প্লাস্টিকের ফেলে দেওয়া বোতল, ছেঁড়া কাগজ, ফেলে দেওয়া কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করে সেগুলি দিয়ে নানা জিনিস তৈরি শুরু করেন মঞ্জু। যা তাঁর স্বামী থেকে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নিতে পারেননি।



তবু প্রায় জোর করেই নিজের এই কুশ ঘাসের জিনিস তৈরির কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন মঞ্জু। নিজে তৈরি করে নিজেই রাস্তায় তা সাজিয়ে বেচতে শুরু করেন।

মঞ্জুর হাতের কাজের দক্ষতা দেখে স্থানীয় এক প্রশাসনিক আধিকারিক এগিয়ে আসেন। তিনি মঞ্জুকে আরও বড় করে তাঁর কাজ শুরুর রাস্তা দেখান। সেই রাস্তায় হেঁটে ২০১৮ সালে মঞ্জু তৈরি করেন একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেখানে তাঁরই পরিচিত, বন্ধু মহিলাদের যুক্ত করেন।

এখন মঞ্জুর এই গোষ্ঠী প্রচুর টাকার জিনিস বানাচ্ছে। কুশ ঘাসের জিনিস তৈরি করে এখন তারা একটি প্রতিষ্ঠান। হিমাচল প্রদেশের রোঢ়া এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুর নাম এখন এক ডাকে সকলে জানে। তাঁর জয় মা দুর্গা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতেও এখন অনেক মহিলা যুক্ত হয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button