National

বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দের গুলি প্রাণ কাড়ল অতিথির

বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই সকলে মিলে আনন্দে মেতে ওঠা। সেই আনন্দই চুটিয়ে উপভোগের এক ভয়ংকর দিক কেড়ে নিল এক অতিথির জীবন। বিয়েতে নেমে এল শ্মশানের নিস্তব্ধতা।

বিয়ের অনুষ্ঠানে কেবল এক নারী ও এক পুরুষের বিয়ে হয়না, বিয়ে মানে এ দেশে এক উৎসব। ২ পরিবার মিলে মিশে এক হয়ে যাওয়া। অতিথিদের নিয়ে আনন্দ, খাওয়াদাওয়ায় মেতে ওঠা।

এমনই এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দের আতিশয্য এক ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হল। কোনও ঝগড়াঝাঁটি বা অশান্তি নয়, একজনের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ কেড়ে নিল আর একটি প্রাণ।

উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার নাগলা খুশালি গ্রামে প্রাকবিবাহ অনুষ্ঠান তিলক-কে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছিলেন সকলে। সেই সময় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক ব্যক্তি তাঁর দেশি পিস্তল থেকে আনন্দ প্রকাশ করতে গুলি চালায়।

সেই গুলি সোজা গিয়ে লাগে তিলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক বছর ৪০-র ব্যক্তির বুকে। গুলি বুকে লাগতেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। অনুষ্ঠান ওঠে লাটে, রক্তাক্ত অবস্থায় কমলেশ নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন সকলে।

কিন্তু হাসপাতালে তাঁকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন কমলেশের মৃত্যু হয়েছে। এরপর গোটা বিয়ের অনুষ্ঠান জুড়ে শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেমে আসে।

যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিল সেই ব্রিজেশ কুমার ঘটনার পরই সেখান থেকে চম্পট দেয়। তাকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিয়ের অনুষ্ঠানে বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এরফলে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরেও এই ভয়ংকর আনন্দ প্রকাশ অব্যাহত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *