National

চিনি কম, খুন হয়ে গেলেন গর্ভবতী

এমন ঘটনা যা কার্যত শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দিতে পারে। এমনই এক ঘটনা ঘটল। প্রাণ গেল এক গর্ভবতী মহিলার।

লখিমপুর (উত্তরপ্রদেশ) : রেণুকে ১২ বছর আগে বিয়ে করে বাবলু। তাদের ৩ সন্তান হয়। চতুর্থ সন্তান রেণুর গর্ভে ছিল। গর্ভবতী স্ত্রী রান্নাঘরেই ছিলেন। বছর ৪০-এর বাবলু তাঁর কাছে ১ কাপ চা চায়। চা দিয়েও আসেন রেণু। তারপর ফিরে আসেন রান্নাঘরে নিজের কাজে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবলু হাজির হয় রান্নাঘরে। এসেই স্ত্রীর ওপর চোটপাট শুরু করে। পুলিশ জানাচ্ছে, চোটপাটের কারণ ছিল চায়ে চিনি কম থাকা।


চায়ে চিনি কমের মত আপাত তুচ্ছ বিষয় কিন্তু সামান্য সময়ের মধ্যেই ৩টি শিশুর জীবনকে অনিশ্চিতের দিকে ঠেলে দিল। একটি প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখার আগে মায়ের গর্ভেই শেষ করে দিল। আর কার্যত চরম যন্ত্রণা সহ্য করে মারা গেলেন এক গর্ভবতী নারী। রেণু কেন চায়ে চিনি কম দিয়েছেন তা নিয়ে তাঁর ওপর রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মারধর শুরু করে বাবলু। তাতেও তার শান্তি হয়নি।

গর্ভবতী স্ত্রীকে প্রবল মারধরের পর হাতের কাছে থাকা একটি ধারাল ছুরি তুলে নেয় বাবলু। তারপর তা দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে দেয়। বাবার চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায় ৩ সন্তানের। তারা রান্নাঘরে এসে দেখে রান্নাঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাদের মা রেণু মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে শ্বাস নেওয়ার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান রেণু। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। এদিকে স্ত্রীকে হত্যা করে চম্পট দেয় বাবলু। তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের বাবর এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button