World

ট্রাক এসে রাস্তার ওপর ঢেলে দিয়ে গেল ২৯ টন গাজর

রাস্তার ওপর স্তূপের মত পড়ে আছে ২৯ টন গাজর! ট্রাক এসে রাস্তার ওপর ঢেলে দিয়ে যায় এই বিপুল পরিমাণ গাজর।

লন্ডন : ঝকঝকে রাস্তা। কিন্তু রাস্তাই তো! তার ওপর কিনা পড়ে আছে গাজর! একটা আধটা নয়। অগুন্তি গাজর। না, সত্যিই গুনে শেষ করা মুশকিল। ওজনটা শুনলেই বোঝা যায় সংখ্যা কত হতে পারে। ২৯ টন বা ২৯ হাজার কেজি!

রাস্তার ওপর গাজরের ছোটখাটো একটা ঢিবি তৈরি হয়ে যায়। কলেজের সামনেই ওই গাজর ঢেলে দিয়ে যায় একটি ট্রাক। ট্রাক থেকে রাস্তার ওপর হুড়হুড় করে পড়ছে গাজর। যা দেখে অনেক ছাত্রছাত্রীই অবাক হয়ে যান।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ লন্ডনের গোল্ডস্মিথ কলেজের সামনে। কলেজের সামনের রাস্তার ওপর পড়ে থাকা সেই গাজরের স্তূপ দেখে প্রাথমিক অবাক পরিস্থিতি কাটতেই অনেক ছাত্রছাত্রী গাজরের ঢিবির ওপর উঠে ছবি তুলতে থাকেন।

এমনকি অনেকে যতটা সম্ভব গাজর সেখান থেকে তুলে ব্যাগে পুরে নেন বাড়ির জন্য। কিন্তু কেন এভাবে এই বিপুল পরিমাণ গাজর রাস্তায় ফেলে দিয়ে যাওয়া হল?

অনেকেই মনে করতে পারেন এটা ছিল কোনও প্রতিবাদের অঙ্গ। কিন্তু বাস্তবে তা একেবারেই নয়।

জানা যায় গোল্ডস্মিথ কলেজেরই এক ছাত্র এই গাজর আনান। এই গাজর তিনি কাজে লাগাবেন তাঁর সৃজনশীল মন থেকে বার হওয়া একটি শিল্পকলায়। যাতে এই ২৯ হাজার কেজি গাজরের প্রয়োজন রয়েছে। সেই শিল্প তিনি পরে তুলে ধরতে চান সকলের সামনে।

গাজর দিয়ে শিল্প! ভাবনা অনন্য। কিন্তু তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তাবলে এত খাবার নষ্ট? ওই ছাত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে তিনি কোনও খাবার নষ্ট করেননি। কারণ যে গাজর তিনি আনিয়েছে তা ব্রিটেনের কোনও আনাজের দোকানের তাকে জায়গা পেত না। এতটাই গুণগত মানের দিক থেকে খারাপ গাজরগুলি।

ওই ছাত্র জানিয়েছেন তাঁর শিল্পকীর্তি সম্পূর্ণ হলে তা সকলে দেখার পর ওই গাজর তিনি ফেলেও দেবেন না। বরং পাঠিয়ে দেবেন বিভিন্ন পশু খামারে। সেখানে পশুদের খাদ্য হিসাবে গাজরগুলি ব্যবহার হবে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *