National

স্টেশন একটাই, অথচ এখানে ট্রেন থামলে দাঁড়ায় ২ রাজ্যে

একটি স্টেশনে এসে ট্রেন থামে বটে, তবে তা আসলে থামে ২ রাজ্যে। ট্রেনের মাথা থাকে একটি রাজ্যে আর পিছনের অংশ থাকে অন্য রাজ্যে।

ভারত এক বৈচিত্র্যে ভরা দেশ। এর যে কোণাতেই যাওয়া যায় সেখানেই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকার মত কিছু না কিছু পাওয়া যাবেই। যেমন একটি স্টেশন।

ভারতের অগুন্তি রেলস্টেশনের একটি। কিন্তু সেই স্টেশনের মাহাত্ম্য নজরকাড়া। এ স্টেশনে একটি ট্রেন এসে থামে বটে, তবে তা একটি রাজ্যে থামে না। থামে ২টি রাজ্যে। ট্রেনের ইঞ্জিন এক রাজ্যে থাকে আর ট্রেনের গার্ড কোচ বা পিছনের কামরা থাকে অন্য রাজ্যে।

রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায় একটি রেলস্টেশন রয়েছে ভবানী মান্ডি স্টেশন। এই স্টেশনের ওপর দিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ দিল্লি-মুম্বই রেলওয়ে লাইন। এই স্টেশনে একটি ট্রেন এসে দাঁড়ালে যদি তার ইঞ্জিন বা সামনের অংশ রাজস্থানে থাকে, তাহলে ট্রেনটির গার্ড কোচ থাকে মধ্যপ্রদেশে।

স্টেশনটিই ২টি রাজ্যের সীমানার মাঝে পড়েছে। ফলে এখানে ট্রেন থামা মানে একটি স্টেশনে থামা বটে তবে ২টি রাজ্যেও একসঙ্গে থামা।

ভবানী মান্ডি স্টেশনের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে গেলে দেখা যাবে স্টেশনের একটি প্রান্তে বোর্ডে লেখা থাকে রাজস্থান আর তার অন্য প্রান্তে বোর্ডে লেখা থাকে মধ্যপ্রদেশ।

তবে অবাক হওয়া শুধু এই ভবানী মান্ডি রেলস্টেশনেই আটকে নেই। এই এলাকায় এমন অনেকগুলি বাড়ি রয়েছে যে বাড়িগুলির সামনের দরজা খুলে বার হলে পা রাখা যায় মধ্যপ্রদেশের ভাইসোদামান্ডি শহরে। কিন্তু বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে বার হলে পা রাখা হয় ভবানী মান্ডি শহরে।

প্রসঙ্গত এই মজার বিষয়টিকে সামনে রেখে বলিউডে একটি সিনেমাও তৈরি হয় ২০১৮ সালে। সিনেমার নাম ছিল ‘ভবানী মান্ডি টেসান’। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button