SciTech

ট্রেন ছুটতে পারে অন্য শক্তিতে, উদ্যোগ শুরু

কয়লার ইঞ্জিন এখন ইতিহাস। ট্রেন এখন ছোটে হয় বিদ্যুতে, নয়তো বা ডিজেলে। এবার আসছে এক নয়া শক্তি। যা টেনে নিয়ে যাবে ট্রেনকে।

একসময় ট্রেন ছুটত কয়লা ইঞ্জিনে। সেই শক্তি বিদায় নিয়ে এখন ট্রেন ছোটে বিদ্যুতে। তবে সর্বত্র বিদ্যুতের সংযোগ নেই। তাই দূরপাল্লার অনেক ট্রেনই ছোটে ডিজেল ইঞ্জিনের শক্তিতে।

কিন্তু তাতে সারা বছরে ৭ মিলিয়ন টন কার্বনের অপচয় হয়। সেটাই এবার বাঁচানোর উদ্যোগ শুরু হল। নয়া শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ট্রেন ছোটানোর উদ্যোগ পরিবেশকেও অনেকটা দূষণ মুক্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

দিল্লি ক্লাইমেট ট্রেন্ড এবং ব্রিটেনের গ্রিন টেক সংস্থা যৌথভাবে যে রিপোর্ট তৈরি করেছে তাতে দেখানো হয়েছে প্রতি ৪টির মধ্যে ১টি ট্রেন আগামী দিনে সৌর বিদ্যুৎ-এর সাহায্যে ছুটে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।

ভারতীয় রেল তাদের খতিয়ানে জানিয়েছে ২০১৯-২০ সালে দেশে সাকুল্যে ট্রেনে যাত্রা করেছেন ৮ বিলিয়ন মানুষ। সৌর বিদ্যুতে ট্রেন চলা চালু হলে প্রাথমিকভাবে এঁদের মধ্যে ২ বিলিয়ন মানুষ সেই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হালেই জানিয়েছেন ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে কার্বন মুক্ত ট্রেন পরিষেবা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথাকে সম্মান জানিয়ে রেলমন্ত্রী রেলের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন রেলের পড়ে থাকা জমি চিহ্নিত করতে।

তারপর সেসব জমিতে দ্রুত সৌর বিদ্যুৎ তৈরির প্যানেল বসাতে। এতে ট্রেন চালাতে যে ক্রমাগত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে তা অনেকটা মিটবে। রেলওয়ে ওভারহেড লাইন দিয়েই এই বিদ্যুৎ চালিত করে ট্রেন চালানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *