National

কাশ্মীরে জঙ্গি হানা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫

জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথপোরা এলাকায় জম্মু শ্রীনগর হাইওয়ের ওপর আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত সিআরপিএফ জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫। শুক্রবার আরও ২ চিকিৎসাধীন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়বে না এমন কথা বলা যাচ্ছেনা।

গত বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৫৪৭ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে নিয়ে ৭৮টি বাসের একটি কনভয় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে ধরে শ্রীনগরের দিকে আসছিল। শ্রীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে লেথপোরার কাছে হাইওয়েতে আচমকাই কনভয়ে ঢুকে পড়ে একটি এসইউভি। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি কনভয়ের একটি বাসে এসে ধাক্কা মারে। সেখানেই বিস্ফোরণ হয়।

গাড়িটিতে ২০০ কেজির মত আরডিএক্স ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। বিস্ফোরণে বাসটি প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উড়ে যায় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটিও। ফলে একে আত্মঘাতী হামলা বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের জেরে দ্বিতীয় একটি বাসেরও আংশিক ক্ষতি হয়। ভয়ংকর বিস্ফোরণের জেরে সিআরপিএফ জওয়ানদের অনেকের কোমরের নিচ থেকে উড়ে যায়। অনেকের হাত, পা ছিন্ন হয়ে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়।

বিস্ফোরণ ঘটানোর পর সিআরপিএফ জওয়ানদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় পরিস্থিতি থেকে বার হওয়ার আগেই শুরু হয় জঙ্গিদের গুলিবর্ষণ। সিআরপিএফ কনভয় লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি বর্ষণের পর সেখান থেকে চলে যায় জঙ্গিরা। এমনকি গ্রেনেড হামলা হয় বলেও খবর। এভাবে সিআরপিএফ-কে কার্যত অসহায় করে এমন পরিকল্পনামাফিক হামলায় রীতিমত হতবাক সিআরপিএফ আধিকারিকরা।

ঘটনার পরই ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ঘটনার পর তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে কনভয়ে ঢুকে পড়া সুইসাইড বম্বার আদিল আহমেদ দার-কে সামনে আনা হয়। তাকে জইশ কমান্ডার বলে দাবি করা হয়। গাড়িটি বিস্ফোরণের পর তারও মৃত্যু হয়।

Indian Army
জম্মু শ্রীনগর হাইওয়ের ওপর হামলাস্থল, ছবি – আইএএনএস

ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। নিন্দা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন দলের নেতা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *