National

বাড়তে চলেছে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স, মন্ত্রিসভায় পাশ প্রস্তাব

মেয়েদের এখন ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছর। এটাই দেশের আইন। এই বয়স আইন করে বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। এ নিয়ে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে মন্ত্রিসভায়।

বর্তমানে ভারতে ছেলে এবং মেয়েদের আইনত বিয়ের বয়স স্থির করা রয়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই বয়স ২১ বছর। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেই আইনি বয়স ১৮। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ন্যূনতম বিয়ের বয়স বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল নীতি আয়োগ।


জয়া জেটলির নেতৃত্বে তৈরি নীতি আয়োগের টাস্ক ফোর্স গঠিত হয় গত বছরের জুন মাসে। সেই টাস্ক ফোর্সে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। তাঁরাই একটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন।

টাস্ক ফোর্সের প্রস্তাব ছিল মেয়েদের আইনত বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করা হোক। অর্থাৎ ছেলে ও মেয়ে, উভয়ের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা।



নীতি আয়োগের সেই প্রস্তাব যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রেখেছিল কেন্দ্র। এবার সেটিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সামনে আনা হল।

গত বুধবার মন্ত্রিসভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। ফলে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ করার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত গতবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এ বিষয়ে। তিনি বলেন মেয়েদের মধ্যে অপুষ্টি তখনই কমবে যখন তাঁদের সঠিক বয়সে বিয়ে হবে।

এদিকে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি নীতি আয়োগ দেশের সব স্কুলে সেক্স এডুকেশনকে আবশ্যিক করার প্রস্তাবও পেশ করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button