National

রাস্তায় যানজটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কনেকে গাড়িতে ফেলে পালাল বর

এমন ঘটনাও ঘটে! রাস্তার ট্রাফিক জ্যামকে কাজে লাগিয়ে বর গাড়ি থেকে এক ছুটে চম্পট দিল। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে একাই কনের পোশাকে বসে রইলেন সদ্যবিবাহিতা।

আগের দিন তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। পরদিন কনেকে নিয়ে গাড়িতে ফিরছিলেন বর। সেই গাড়ি রাস্তার প্রবল যানজটে যায় থমকে। গাড়ি আর নড়ে না। কিই বা করা যায়! অগত্যা গাড়িতেই বসে থাকেন বর ও কনে।

এমনভাবে মিনিট দশেক গাড়িতেই ঠায় বসে থাকার পর এমন এক কাণ্ড ঘটল যা কনেকে হতবাক করে দেয়। অস্বাভাবিক যানজটে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে আচমকা নেমে পড়েন বর। তারপর অন্য দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ফাঁকফোকর গলে চম্পট দেন।


গাড়িতে কনে একাই বসে থাকেন। প্রথমে তাঁর স্বামী যানজটের কারণ জানতে এগিয়ে গেছেন বলে ভাবলেও পরে কনে বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী চম্পট দিয়েছেন তাঁকে ফেলে রেখে।


শুরু হয় বরের খোঁজে তল্লাশি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশও খোঁজ শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। কনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই যুবক বিয়ের আগেই তাঁদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

এখন তাঁর বিয়ে ঠিক হতে চলায় ওই তরুণী তাঁকে ভয় দেখিয়েছেন যে অন্য মেয়েকে বিয়ে করলে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি সর্বত্র প্রকাশ করে দেবেন। কনের পরিবার মনে করছে তেমন কিছু ঘটতে পারে সেই ভেবে লজ্জায় গা ঢাকা দিয়েছে তাঁদের নতুন জামাই।

কনে এবং কনের পরিবার এটাও আশ্বস্ত করেছেন যে তেমন কিছু ঘটলে তাঁরা ওই যুবকের পাশেই থাকবেন। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। প্রসঙ্গত বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক জ্যাম সারা ভারতে যথেষ্ট চর্চার বিষয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button