National

হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সন্ধেয় বেড়াতে গেল কিশোর

অ্যাম্বুলেন্স এমন এক পরিষেবা যা রোগীদের জন্য সদা তৈরি থাকা জরুরি। কিন্তু সেই অ্যাম্বুলেন্স খোদ হাসপাতাল থেকে নিয়ে বেড়াতে গেল এক কিশোর।

সরকারি ওই হাসপাতালেই তার বাবা কর্মরত। তিনি ছেলের জ্বর আসায় ছেলেকে দেখাতে নিজের কর্মস্থল ওই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে ১৫ বছরের ওই কিশোরকে পরীক্ষাও করেন চিকিৎসকেরা।

এদিকে ওই হাসপাতালে বাবার হাত ধরে সে অনেকবার এসেছে। অন্য কর্মীরাও তাকে ভাল করেই চেনেন। ফলে হাসপাতালের আনাচেকানাচে তাকে ঘুরতে দেখেও কেউ কোনও প্রশ্ন করেননি।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সহকর্মীর ছেলে হাসপাতালে বেড়াচ্ছে দেখে বিশেষ গুরুত্ব দেননি কেউ। এদিকে ওই কিশোর ঘুরতে ঘুরতে এক সময় যেখানে অ্যাম্বুলেন্স রাখা থাকে সেই পার্কিংয়ে পৌঁছে যায়। সেখানে একটি অ্যাম্বুলেন্সে চাবিও ঝুলতে দেখে সে।

আশপাশে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালককে দেখতে না পেয়ে ওই কিশোর অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে বসে। গাড়ি সে চালাতে জানে। ফলে অ্যাম্বুলেন্সটি চালিয়ে ওই হাসপাতালে থেকে বেরিয়েও যায়।

এবার সেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সবে সন্ধে নামা শহরে বেড়াতে থাকে সে। এভাবে ৮ কিলোমিটার ঘোরার পর আচমকা অ্যাম্বুলেন্সটি থমকে যায়।

কেন সেটি আর চলছে না তা বুঝতে না পেরে ওই ১৫ বছরের কিশোর অ্যাম্বুলেন্সের চালকের আসন থেকে নেমে আসে। পথচলতি মানুষ দেখেন একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে এক কিশোর নেমে আসছে। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। এদিকে কেরালার ত্রিশূর শহরের ত্রিশূর জেলা হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স যে নেই তা নজরে আসতে বেশি সময় লাগেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। দ্রুত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন সেটি কোথায় রয়েছে। সেখানে তাঁরাও হাজির হন।

কীভাবে এক কিশোর হাসপাতাল থেকে বিনা বাধায় একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এভাবে বেড়াতে বেরিয়ে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালককে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *