National

যানজটে আটকে গেল গাড়ি, রোগীকে বাঁচাতে ১৫ মিনিট ছুটলেন ডাক্তার

চিকিৎসকদের নিয়ে নানা অপবাদ শোনা যায়। আবার চিকিৎসকদের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতাও উদাহরণ সৃষ্টি করে। এমনই এক উদাহরণ স্বচক্ষে দেখলেন দেশবাসী।

অপারেশনটা ওইদিন ঠিক কখন হবে তা স্থির হয়ে গিয়েছিল। রোগিণীর যা শারীরিক পরিস্থিতি তাতে অপারেশনে দেরি করা যে যাবেনা তাও ওই চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেইমত সব তৈরি ছিল।

চিকিৎসকের জুনিয়ররা রোগিণীকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন। ঠিক ছিল ওই গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি সার্জন হাসপাতালে পৌঁছেই রোগিণীর অপারেশন করবেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বাড়ি থেকে সময়েই বের হন তিনি। গাড়িতে চড়ে বসেন। গাড়ি এগোয় হাসপাতালের দিকে। ফোনেই চিকিৎসক খবর নিতে থাকেন রোগিণীর পরিস্থিতি এবং অপারেশনের প্রস্তুতি সম্বন্ধে। এদিকে হাসপাতাল তখনও প্রায় ৩ কিলোমিটার। যানজটে আটকে যায় গাড়ি।

বেঙ্গালুরু শহরের যানজট সম্বন্ধে চিকিৎসক গোবিন্দ নন্দকুমার পরিচিত। তাই তিনি আর সময় নষ্ট না করে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ড্রাইভারকে বলেন গাড়ি হাসপাতালে আনতে। তিনি এগোচ্ছেন। এবার রাস্তা দিয়ে তিনি শুরু করেন ছোটা।

সারি সারি গাড়ির গা ঘেঁষে তিনি ছুটতে থাকেন হাসপাতালের দিকে। দেরি করলে রোগিণীর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই সে সময় তাঁর হাতে নেই। তিনি ছুটতে থাকেন।‌

প্রায় ১৫ মিনিট ছোটার পর নন্দকুমার পৌঁছন মনিপাল হাসপাতালে। এই দীর্ঘ পথ ছোটার পরও তিনি এতটুকু বিশ্রাম নেননি।

হাসপাতালে পৌঁছেই পোশাক বদলে অপারেশনের পোশাক পরে সোজা হাজির হন অপারেশন থিয়েটারে। তারপর রোগিণীর গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার করেন। অপারেশনের পর রোগিণী এখন সুস্থ।

এদিকে চিকিৎসক গোবিন্দ নন্দকুমারের এভাবে ছুটে হাসপাতালে পৌঁছে অপারেশনের কথা এখন সকলের মুখে মুখে ঘুরছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *