National

কন্ডোমের প্যাকেট দিয়ে ফাটা মাথায় ব্যান্ডেজ করলেন চিকিৎসক

চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে নানা ঘটনা সামনে আসে। তবে এমন ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি। কন্ডোমের প্যাকেট দিয়ে ফাটা মাথায় ব্যান্ডেজ করলেন এক চিকিৎসক।

চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা অভিযোগ সামনে আসে। তবে এমন ঘটনা কেউ আগে শুনেছেন বলে জানা নেই। এক মহিলা মাথায় আঘাত পান। গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র একটা বড় ভরসা। সেখানে তিনি রক্তাক্ত মাথা নিয়ে হাজির হন।


মহিলার অবস্থা দেখে তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন চিকিৎসক। তারপর তাঁকে জেলা হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন। মহিলার পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে দ্রুত জেলা হাসপাতালে হাজির হন।

সেখানে চিকিৎসক মহিলার মাথার আঘাত কতটা তা ভাল করে দেখার জন্য ব্যান্ডেজ খুলতে শুরু করেন। আর তখনই কার্যত হতবাক হয়ে যান তিনি।



ব্যান্ডেজ খুলতে শুরু করতেই আঘাতের ওপর চাপা দেওয়া অবস্থায় বেরিয়ে আসে একটি কন্ডোমের প্যাকেট। কন্ডোমের প্যাকেট দিয়ে ব্যান্ডেজ! দ্রুত বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি।

মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলা হাসপাতাল থেকে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন তারা আঘাতের ওপর কন্ডোমের প্যাকেট দিয়ে ব্যান্ডেজ করেছে? উত্তরে যে চিকিৎসক ওই ব্যান্ডেজ করেন তিনি জানান, ওই মহিলার মাথায় যখন তিনি ব্যান্ডেজ করছিলেন তখন পিচবোর্ডের একটা টুকরো চেয়েছিলেন তিনি। ওয়ার্ড বয় তা আনতে পারেননি।

তবে ওয়ার্ড বয় একটি কন্ডোমের প্যাকেট নিয়ে আসেন। বাধ্য হয়ে তখন সেই প্যাকেটই ব্যবহার করতে হয় মাথায় ব্যান্ডেজ করার জন্য। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ওয়ার্ড বয়কে বরখাস্ত করেছেন মোরেনা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button