National

ফটো তোলার ব্যবস্থা নেই, বিয়ের মণ্ডপেই কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন কনে

বিয়ের অনুষ্ঠানে ফটো তোলার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এটা মেনে নিতে পারলেননা কনে। মণ্ডপে দাঁড়িয়েই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটলেন তিনি।

বিয়ের আয়োজন হয়েছিল জাঁকজমকে ভরা। ঝলমল করছিল বিয়ের জন্য তৈরি মণ্ডপ। চতুর্দিক আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে। বরযাত্রীরা বর নিয়েও হাজির হন সঠিক সময়ে। তাঁদের আপ্যায়নে ত্রুটি রাখেনি কনেপক্ষ।

মালাবদলের সময় বর কনে তখন মুখোমুখি। ২ পরিবারের সদস্যরা তো বটেই, সেই সঙ্গে অতিথিরাও হাসি মুখে চেয়ে আছেন মালাবদল দেখার জন্য।

এমন সময় কনে চারধার একটু দেখে প্রশ্ন করেন হবু বর ফটোগ্রাফার আনেননি কেন? কেনই বা নেই ভিডিও তোলার ব্যবস্থা? সকলেই কনের আচরণে থতমত খেয়ে যান।

কনে কিন্তু মালাবদল করবেননা বলে জানিয়ে দেন। এ বিয়েই তিনি করবেননা। বরপক্ষ কেন ফটো তোলার ব্যবস্থা করেনি। তাঁর জীবনের এই মুহুর্তকে ক্যামেরাবন্দি করার ব্যবস্থা কেন নেই। এসব প্রশ্ন তুলে কনে সুর চড়ান। তারপর সাফ জানিয়ে দেন যে মানুষ বিয়ের দিনের ছবি তোলার ব্যবস্থা করার কথা খেলায় করেননি, তিনি সারা জীবন কীভাবে তাঁর খেয়াল রাখবেন?

কনে সাফ জানিয়ে দেন এ বিয়ে তিনি করবেননা। বাড়ির সকলে তাঁকে অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কনে রেগে প্রতিবেশির বাড়িতে চলে যান।

পুলিশ আসে। তারপর পুলিশের মধ্যস্থতায় বর ও কনেপক্ষ নিজেদের মধ্যে যে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রি আদানপ্রদান করেছিল তা একে অপরকে ফিরিয়ে দেয়। পরে খালি হাতেই বাড়ি ফেরেন বর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *