National

বিয়ের মাঝেই জ্ঞান হারালেন বর, মাথার দিকে তাকিয়ে বিয়ে ভাঙলেন কনে

বিয়ের অনুষ্ঠান বেশ ভালভাবেই চলছিল। কিন্তু সব ওলটপালট করে দিল বরের মাঝপথে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। অজ্ঞান বরের মাথার দিকে তাকিয়ে বিয়ে ভেঙে দিলেন কনে।

বিয়ের আয়োজনে কোনও খামতি ছিলনা। কনের বাড়ির তরফে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল আয়োজনে। বরও বরযাত্রী নিয়ে সঠিক সময়ে হাজির হয়েছিলেন কনের বাড়িতে। বিয়েও তিথি মেনেই শুরু হয়েছিল।


বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর পর এক সময় বরকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মণ্ডপের দিকে। মণ্ডপের কাছাকাছি পৌঁছে বরের শরীর খারাপ করতে থাকে। তিনি ওখানেই অচেতন হয়ে পড়ে যান।

সকলে ছুটে আসেন সেখানে। কনেও সেখানে হাজির হন। মাথায় হাত বুলিয়ে বরকে সুস্থ করার চেষ্টা শুরু হয়। আর সেই হাত বোলানোর চোটে বরের মাথা থেকে খুলে আসে পরচুলা।



কনে তা দেখে চটে আগুন হয়ে যান। এদিকে বিয়ে তখন মাঝপথে। কনে কিন্তু সাফ জানিয়ে দেন টাক মাথা বরকে তিনি কিছুতেই বিয়ে করতে পারবেননা। কনের পরিবারও তাঁর পাশে দাঁড়ায়।

বরপক্ষ বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করে কনেপক্ষ। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে ২ পক্ষের মধ্যে একটা সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু কনেকে হাজার বুঝিয়েও রাজি করানো যায়নি।

কনের পরিবারও সাফ জানিয়ে দেয় সত্য লুকিয়ে এভাবে বিয়ে করা দিয়ে যে জীবন শুরু হবে তা ভাল হবে না। অবশেষে কনের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া সবকিছু ফিরিয়ে দিয়ে কানপুরে খালি হাতেই ফিরে যান বর ও বরযাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button