National

মন্দিরে ১ লক্ষ টাকা দান করলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা ভিখারিনী

ভিক্ষা করেই তাঁর দিন চলে। তিনি যে কোনও মন্দিরে ১ লক্ষ টাকা দান করতে পারেন তা অনেকেই স্বপ্নে কল্পনা করতে পারবেননা। কিন্তু এ ছাড়াও তাঁর কর্মকাণ্ড রয়েছে।

১৮ বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। একা হয়ে পড়েন তিনি। রোজগার করার কেউ ছিলেননা। সন্তানদেরও মৃত্যু তাঁকে আরও একা করে দিয়েছিল।


একদম একা মহিলা স্থির করেন ২ বেলার অন্ন জোগাড় করতে তাঁকে ভিক্ষার পথ বেছে নিতেই হবে। তিনি এরপর বিভিন্ন মন্দিরের কাছে ভিক্ষা করা শুরু করেন।

এমন ঘটনা বিরল নয়। যেটা বিরল তা হল তাঁর দানের কথা। ভিক্ষা করে তিনি সম্প্রতি একটি মন্দিরে ১ লক্ষ টাকা দান করেছেন।



এছাড়াও তিনি এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মন্দিরে দান করা এবং মন্দিরে আগত ভক্তদের অন্নদান-এ অর্থ ব্যয় মিলিয়ে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন।

অশ্বত্থামা নামে ৮০ বছরের বৃদ্ধা ভিক্ষা করে যা পান তা থেকে নিজের প্রয়োজনটুকু রেখে বাকিটা একটি ব্যাঙ্কে রাখেন। তারপর সেখানে লাখ খানেক টাকা জমলে তিনি স্থানীয় কোনও মন্দিরে তা দান করেন বা মন্দিরে অন্নদান-এ ব্যয় করেন।

কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুর ক্ষেত্র রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে অশ্বত্থামা হালেই ১ লক্ষ টাকা দান করেছেন অন্নদানে। বৃদ্ধা অশ্বত্থামার একটাই লক্ষ্য, কেউ যেন পৃথিবীতে ক্ষুধায় কষ্ট না পায়।

৮০ বছর বয়সেও এই একাকী বৃদ্ধা ভিক্ষা করেই নিজের জীবন চালাচ্ছেন। সঙ্গে মন্দিরে মন্দিরে দানও করছেন। তাও লক্ষাধিক টাকা। একে এক অনন্য কীর্তি বললেও কম বলা হয়। তাঁর এই দান ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button