National

কোটি কোটি টাকা কারচুপিতে ধৃত ১৭৬ টাকার মালিক, তাজ্জব পুলিশ

কোটি কোটি টাকা কারচুপি করে ধরা পড়েছে সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে ধৃত যা বলল তাতে এবার আরও অবাক হলেন তদন্তকারীরা।

প্রাচীন মূল্যবান জিনিসের ব্যবসা করে সে। বাজারে তার পরিচিতি অমূল্য সব জিনিস বিক্রির জন্য। যার মধ্যে সে দাবি করে তার কাছে রয়েছে যিশুখ্রিস্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা জুডাসের সেই ৩০টি রূপোর কয়েনের ২টি। যে ৩০টি কয়েন জুডাস নিয়েছিল যিশুখ্রিস্টকে ঠকানোর জন্য।


এমনই বিভিন্ন জিনিস রয়েছে তার সংগ্রহে। যেমন রয়েছে পুরাতন হাতে লেখা ভাগবত গীতা, টিপু সুলতানের সিংহাসন, পুরনো কয়েন।

তার কাছ থেকে এসব জিনিস সংগ্রহ করার জন্য আগে থেকে টাকা দিয়ে রাখেন অনেকে। এমনই ৬ জন পুলিশে অভিযোগ করেন যে তাঁদের মোট ৬ কোটি টাকা ঠকিয়ে নিয়েছে ৫৪ বছর বয়সী মনসুন মাভুঙ্কাল।



অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রেফতার করা হয় মনসুনকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিন্তু তাজ্জব পরিস্থিতি হয় পুলিশের।

মনসুন সাফ জানায় তার কাছে পড়ে আছে মাত্র ১৭৬ টাকা। ৬ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির দাবি তার কাছে পড়ে আছে ১৭৬ টাকা! ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায়।

পুলিশ এখন সব ব্যাঙ্ক ও সরকারি দফতরে খোঁজ করছে যে ওই ব্যক্তির নামে কোথাও কোনও সম্পত্তি বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করার রাস্তায় হাঁটতে পারে পুলিশ।

জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণে টাকা সেখান থেকে প্রাপককে মেটানো যাবে। কিন্তু এখনও তেমন কোনও খোঁজ মেলেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button