National

জীবনসঙ্গিনীকে হারানোর কষ্ট সহ্য করতে পারলেননা স্বামী

স্ত্রীর মৃত্যুটা কিছুতেই মেনে নিতে পারলেননা স্বামী। আচমকাই স্ত্রী যে এভাবে মারা যাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। এমনই জানাচ্ছেন তাঁর ছেলে।

স্ত্রী যে তাঁকে ছেড়ে এভাবে হঠাৎ করে চলে যাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। ৬৫ বছর বয়সে স্ত্রীকে হারানোর কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারছিলেননা।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই কেমন যেন নিথর হয়ে গিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে কথাও বলছিলেন না। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও নয়। ছেলের সঙ্গেও নয়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

খাবার দিলে কিছুটা মুখে দিচ্ছিলেন বটে। তবে তা অনেকটাই করছিলেন বাহ্যজ্ঞান শূন্যের মত। এভাবেই এক এক করে দিন কাটছিল।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর এভাবেই ১০ দিন কাটান নিমাই রজক। নিমাইবাবুর ছেলে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতেও নিমাইবাবু তাঁদের সঙ্গেই খেয়েছিলেন রাতের খাবার।

খেয়ে নিয়ে তিনি তাঁর ঘরে ঢুকে যান। কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না তিনি। খেয়ে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করেন। বাড়ির অন্যরাও শুতে চলে যান।

শুক্রবার সকালে অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না দেওয়ায় অবশেষে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় নিমাইবাবু সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন।

স্ত্রীর মৃত্যুশোক নিমাই রজক অনেক চেষ্টা করেও সহ্য করে উঠতে পারলেননা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সকলে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে।

এদিকে মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণার মধ্যেই পিতৃবিয়োগে ভেঙে পড়েছেন নিমাইবাবুর ছেলে। বাবা যে মায়ের শোকেই এই পদক্ষেপ করেছেন এ বিষয়ে তিনি প্রায় নিশ্চিত।

গোটা বাড়িতে এক শোকস্তব্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার ময়ূরডুবি গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *