Lifestyle

কবর থেকে দেহ তুলে সাজিয়ে নাচে গানে ফের কবর দেওয়াই ফামাদিহানা

কবর থেকে দেহ তোলা হয় কয়েক বছর বাদে। তুলে দেহ নতুন করে সাজানো হয়। পিছনে রয়েছে এক বিশ্বাস। তার থেকেই চলে চলেছে এই প্রথা।

মৃত্যুর পর দেহটি নতুন কাপড়ে মুড়ে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু ৭ বছর পর ফের সেই দেহ কবর থেকে তুলে আনা হয়। পরিবারের লোকজনই তুলে আনেন দেহ।

হতে পারে দেহটি নষ্ট হয়ে গেছে। হতে পারে কেবল কঙ্কালটা পড়ে আছে। কিন্তু সেই দেহ সযত্নে তুলে আনা হয় কবর থেকে। তারপর তার পুরনো জড়ানো কাপড়টা খুলে নতুন কাপড় দিয়ে ফের জড়ানো হয়।

কাপড়ের ওপরে নতুন করে মৃত ব্যক্তির নাম লেখা হয়। তারপর সেই নতুন করে সাজানো দেহ মাথায় তুলে চলে নাচ, গান। এভাবেই ফের তাঁকে কবরের কাছে নিয়ে গিয়ে কবর দেওয়া হয়।

মাদাগাস্কারের এক জনজাতি মালাগাসি-রা এই প্রথা পালন করে আসছেন বহুকাল ধরে। তাঁরা বিশ্বাস করেন এভাবে প্রয়াতদের সম্মান জানানো যায়।

৭ বছর অন্তর মৃতের দেহের পড়ে থাকা অংশকে কবর থেকে তুলে এভাবেই সম্মান প্রদর্শন করেন মালাগাসিরা। যদিও এই প্রথা থেকে আস্তে আস্তে মালাগাসিদের নতুন প্রজন্মের একাংশ দূরে সরে যাচ্ছে। তবে তা এখনও বজায় রয়েছে। পালিতও হচ্ছে।

মালাগাসিদের মধ্যে যাঁরা বিশ্বাস করেন তাঁরা পুরনো রীতি মেনে ধুমধাম করেই এই প্রথা পালন করছেন। ফলে ‘ফামাদিহানা’ নামে এই প্রথা আজও অটুট।

আজও প্রতি ৭ বছর অন্তর এই প্রথা পালনকে ঘিরে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয় ভারত মহাসাগরের ওপর থাকা দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *