National

মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে পালানোয় বিহারে ফের ‘গঙ্গাজলে’র ছায়া!

গঙ্গাজল সিনেমার কথা মনে আছে? যেখানে দুষ্কৃতিদের চোখে নির্মমভাবে ঢেলে দেওয়া হয় অ্যাসিড। অন্ধ করে দেওয়া হয় দুচোখ! সেই ঘটনার ছায়া এবার সেই বিহারেই। মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে এক যুবকের চোখে অ্যাসিড ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। শিউরে ওঠার মত ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বেগুসরাইয়ের পিপরা চক এলাকায় একটি খাবার দোকানে গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।


হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবকের বয়ান নেওয়ার পর পুলিশ জানায়, ওই যুবক তেঘরা থানা এলাকার বারাউনি গ্রামের এক কৃষকের কাছে কাজ করতেন। সেখানে তিনি ট্র্যাক্টর চালাতেন। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে মালিকের স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে পালান ওই যুবক। থানায় স্ত্রীকে কিডন্যাপ করা হয়েছে বলে রিপোর্ট লেখান মালিক কৃষক। ওই যুবকই তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করেছে বলে দাবি করেন তিনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই ফিরে আসেন ওই মহিলা। স্থানীয় একটি আদালতে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করিয়ে তিনি স্বামীকে ডেকে তাঁর সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান। এরপর গত শুক্রবার রাতে ওই মহিলার দেওর ফোন করে ওই যুবককে তেঘরা থানার কাছে আসতে বলে। জানায় তার বৌদি ওই যুবকের সঙ্গে চলে যেতে চান।

ওই যুবক এলে তাকে জনা ২০ দুষ্কৃতি টেনে পিপরা চকের কাছে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। তারপর একটি সিরিঞ্জ দিয়ে তাঁর ২ চোখে অ্যাসিড ইনজেক্ট করে দেয়। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় এরপর ওই যুবককে ফেলে পালায় তারা। পরে ওই যুবককে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁর ২টি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button