National

পণ চাওয়া লোভী বরকে অভিনব উপায়ে শায়েস্তা করল কনেপক্ষ

বিয়ে করতে পণ লাগবে। কি কি লাগবে তাও স্পষ্ট করেছিল হবু বর। কনের বাবা বরের বাড়িতে তত্ত্ব পাঠানোর পরও বরের দাবি মিটছিল না।

বিয়ের জন্য পণ চেয়েছিল এক যুবক। কনের পিতা বিয়ের ৪ দিন আগেই বরের বাড়িতে প্রচুর তত্ত্ব পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এত তত্ত্ব পাওয়ার পরও বরের চাহিদা মিটছিল না। বিয়ের দিন বিয়ে করতে এসেও সে সাফ জানায় তখনই বিয়ে হবে যখন তাকে একটি ট্রাক্টর দেওয়া হবে।

বিয়ের আগেও একের পর এক দাবি মেনে বরের বাড়িতে জিনিস পাঠিয়ে তখন কনের পিতার পকেট ফাঁকা হতে বসেছে। তবু মেয়ের বিয়েতে ত্রুটি রাখতে চাইছিলেন না তিনি। সেখানে বর বিয়ে করতে এসেও পণ চাওয়ায় বিষয়টি সহ্যের সীমার বাইরে যায়।

বর বিয়ে করতে এসেও ট্রাক্টর চাইছে শুনে কনে সাফ জানিয়ে দেন তিনি এ বিয়ে করবেন না। কিন্তু তাতেই বিষয়টি থেমে যায়নি। এরপর কনের বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয় কয়েকজন বর ও বরযাত্রীদের ঘিরে ফেলেন। তাদের কার্যত বন্দি করা হয়।

তারপর তাঁরাই একটি নতুন ট্রাক্টর জোগাড় করে নিয়ে আসেন। এবার বরকে বলেন ওই ট্রাক্টরকে বিয়ে করতে হবে। কনেপক্ষের এই চাপে কার্যত ফাঁপরে পড়ে যায় বর ও বরের সঙ্গে আসা আত্মীয়স্বজন।

এদিকে কনেপক্ষও সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই ট্রাক্টরকে বিয়ে করে তবেই এই জায়গা থেকে বর ও বরযাত্রীরা নড়তে পারবেন। অনেকক্ষণ ধরে বর ওয়াসিম আহমেদ এবং তার সঙ্গে আসা বরযাত্রীরা অনুনয় বিনয় করে ওই ঘেরাও থেকে ছাড়া পায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *