National

করোনা রোগীর চিকিৎসায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার বিল দিল হাসপাতাল

করোনা সারল বটে। তবে তার জন্য হাসপাতালের বিল হল ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও।

রোগীকে সারিয়ে তুলতে মানুষ ছোটেন বিভিন্ন হাসপাতালে। জীবন মরণের মাঝে দাঁড়িয়ে অনেকেই সব দিয়েও চিকিৎসা করাতে চান আপনজনের। কিন্তু তারও একটা সীমা থাকে। হাসপাতাল যে এই সুযোগ কাজে লাগায় সে অভিযোগ বারবার উঠেছে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলি অনেক ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের মানসিক অবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এভাবে কার্যত তাঁদের সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। এমনই এক ঘটনা সামনে এল। আর যা এল তা গোটা দেশকে চমকে দিয়েছে।

করোনা আক্রান্ত রোগীকে তথাকথিত বড় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে অনেকেরই লাখের ওপর বিল গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার খরচ যে অঙ্কে ঠেকল তা খোদ কেন্দ্রীয় সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

ম্যাক্স হাসপাতালে ওই রোগী গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। গত মাসে তাঁকে ছাড়ে হাসপাতাল। এই সময়ে তাঁর বিল দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা! যা দেখে গোটা দেশের মানুষ হতচকিত হয়ে গেছেন।

কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি এ বিষয়টি দেখার জন্য খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য নিজেও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

কার্যত এই বিল দেখে তিনিও যে অবাক তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মনসুখ মাণ্ডব্য। একই সঙ্গে মণীশ তিওয়ারি বিষয়টি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও দেখতে বলেছেন। কারণ স্বাস্থ্য রাজ্যের এক্তিয়ারে আসছে।

করোনার চিকিৎসায় একজন রোগীর প্রায় ২ কোটি টাকার কাছে যে বিল দাঁড়াতে পারে তা এই ঘটনার পর দেখল ভারত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *