Kolkata

মেট্রো বিভ্রাট, আগুনের ফুলকি, চরম সমস্যায় যাত্রীরা

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা। দমদমগামী মেট্রোয় তখন ভাল ভিড়। যদিও কালীপুজোর পর দিন। তবু অনেক মানুষই তখন চলেছেন কাজে। অথবা স্রেফ কালীপুজো দেখতে। অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি। রাত পোহালেই ভাইফোঁটা। তারও প্রস্তুতি রয়েছে। অনেকের বাড়িতে এদিনই ভাইফোঁটা। এই অবস্থায় মেট্রো একটা বড় ভরসা দ্রুত পৌঁছনোর জন্য। এদিন রবীন্দ্র সদন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর পর যাত্রীরা জানতে পারেন ট্রেনের থার্ড লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা গেছে। ট্রেন আর এগোবে না। যা জানা যাচ্ছে তাতে রবীন্দ্র সদন থেকে ময়দানের দিকে যাওয়া লাইনে আগুনটা দেখা যায়। দ্রুত মেট্রো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে নেওয়া হয়।


আগুনের ফুলকি দেখা যাওয়ার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষ আর কোনও ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটেনি। তারা ২ দিকের লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। স্তব্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। যার জেরে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। অনেকেই মাঝের স্টেশনে নামতে বাধ্য হয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর রাস্তা ভাবতে থাকেন। কিছু যাত্রী বিশেষত পরিবার নিয়ে আসা যাত্রীরা একটু অপেক্ষা করেন স্টেশনেই। যদি মেট্রো চালু হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাঁরাও বিকল্প পথের খোঁজে স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসেন।

মেট্রো অবশ্য ১টার পর আংশিক পথে চলাচল করলেও পুরো রাস্তা অতিক্রম করেনি। এদিকে আগুনের জেরে দমকল হাজির হয়। আসেন মেট্রো আধিকারিকরা। মেট্রোয় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর সুবিধার জন্য অনেকে যাওয়া পছন্দ করলেও যেভাবে কিছু দিনের ব্যবধানেই মেট্রোয় নানা বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে তাতে মেট্রো সফর এখন আতঙ্কের সফর হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেট্রোয় চড়ে একদম গন্তব্যে নামা পর্যন্ত নিশ্চিত নয় যে সঠিক সময়ে কোনও সমস্যা ছাড়াই মেট্রো রেকটি গন্তব্যে পৌঁছবে।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button