World

কিছু না করার পারিশ্রমিক কয়েক হাজার টাকা, সঙ্গে মিলবে সুখাদ্য

কোনও কাজ না করার জন্য যদি টাকা পাওয়া যায়, এমন অফার তো স্বপ্নের মত। কোনও কাজ না করার জন্য হাজার হাজার টাকা দিচ্ছেন মানুষজন। সঙ্গে ফ্রি খাবার।

তিনি কোনও কাজ করেননা। কাজ না করার জন্য ঘণ্টায় চার্জ করেন ৬ হাজার টাকা। আর সে টাকা তাঁকে দিতে চেয়ে অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন। এমনও হয় যে তাঁর ভাল না লাগলে তিনি টাকা নেন না। ফিরিয়ে দেন।


শুনে কিছুটা রূপকথার গল্পের মত মনে হতে পারে। অনেক চাকরি প্রার্থীর ঈর্ষাও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এটাই সত্যি।

জাপানের ৩৮ বছরের শোজি মোরিমোতো কোনও কাজ না করার জন্য ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার টাকা নেন। কিন্তু কেন তাঁকে টাকাটা দেন মানুষজন?



কারও হয়তো একটু বেড়াতে ইচ্ছা করছে। পাশে কাউকে চাই। তিনি শোজিকে ডেকে নেন। শোজি তাঁর সঙ্গে থেকে গল্প করেন। তাঁর সঙ্গে বেড়ান। খাওয়া দাওয়া করেন। অবশ্যই নিজের খরচে নয়।

আবার হয়তো কারও জন্মদিন। কারও সঙ্গে কেক কেটে আনন্দ করতে চান। তিনি ডাকেন শোজিকে। শোজি মানুষের একাকীত্বের সঙ্গী হন। তাঁর সঙ্গে সময় কাটান।

কখনও কেউ রাস্তায় অন্যদের সঙ্গে বার হতে সংকোচ বোধ করলে শোজিকে ডেকে নেন। এমনকি পার্কে বসে কাউকে আইসক্রিম খাওয়ায় সঙ্গ দেওয়ার জন্যও শোজি বিভিন্ন জায়গায় হাজির হন।

শোজির এখন অনেক গ্রাহক। একই মানুষ বারবার তাঁকে ডাকেন এমনটাও হয়। তবে একবার তাঁকে পোশাকহীন হওয়ার জন্য একজন ডেকে পাঠিয়েছিলেন। শোজি রাজি হননি। সব অফার তিনি গ্রহণ করেননা। যেমন করেননি একবার একজন ফ্রিজ সরাতে তাঁকে সাহায্য করতে ডাকায়।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button