National

প্রস্রাব করতে দিতে হল কয়েক হাজার টাকা, পৌঁছলেন অন্য শহরেও

প্রস্রাব করতে যে কয়েক হাজার টাকা পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে তা বুঝতে পারেননি তিনি। শুধু কি তাই, প্রস্রাব করতে গিয়ে পৌঁছ গেছেন অন্য শহরেও।

স্ত্রী ও ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে যখন তিনি স্টেশনে পৌঁছলেন তখনও ট্রেন আসতে দেরি আছে। এদিকে তাঁর প্রবল প্রস্রাব পেয়েছে। কি করবেন? সামনেই দাঁড়িয়েছিল একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তিনি আর দেরি না করে উঠে পড়েন বন্দে ভারতে। তারপর বাথরুমে ঢুকে পড়েন।

বাথরুম থেকে বেরিয়ে তাঁর বুক শুকিয়ে যায়। ট্রেন তো চলতে শুরু করেছে। তখনও স্টেশন পার করেনি। তাই দরজা দিয়ে নেমে যাবেন বলে দরজার কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন সে দরজা খোলা যাচ্ছেনা। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে ট্রেন গতি বাড়াচ্ছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তিনি ছোটেন ট্রেনের টিটি-র কাছে। টিটি ও ট্রেনের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা রেল পুলিশ জানিয়ে দেয় দরজা কেবল ট্রেনের চালক খুলতে পারেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে চালকের কেবিনে যেতে দেওয়া হয়নি। বরং এভাবে বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠার জন্য তাঁকে জরিমানা করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ভোপালে। আবদুল কাদির নামে ওই ব্যক্তি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরাউলিতে। সেখানেই পরিবার নিয়ে যাচ্ছিলেন ভোপাল হয়ে।

কাদির অনেক অনুরোধ করার পরেও দরজা খোলা যায়নি। ট্রেন ভোপাল থেকে যাত্রা করে স্টপ দেয় উজ্জয়িনী স্টেশনে। সেখানেই তিনি হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে নেমে পড়েন। তারপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাস ধরে ফের প্রায় হাজার টাকা খরচ করে ফেরেন ভোপালে।

Indian Railways
ফাইল : বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, ছবি – আইএএনএস

এর মাঝে আবার কাদিরদের যে ট্রেনে সিঙ্গরাউলি যাওয়ার টিকিট কাটা ছিল সেই ট্রেনটি ভোপালে এসে কাদিরের স্ত্রী ও পুত্রের সামনে দিয়ে চলেও যায়। কিন্তু তাঁরা চড়তে পারেননি। ফলে সেখানেও হাজার চারেক টাকা নষ্ট হয়।

সব মিলিয়ে একটা প্রস্রাবের জেরে হাজার ছয়েকের কাছে টাকা পকেট থেকে গলে গেল আবদুল কাদিরের। সেই সঙ্গে মানসিক উদ্বেগ ও চাপ তো বাড়তি পাওনা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *