National

অন্য পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত মাকে দেখে ফেলায় খুন ৬ বছরের মেয়ে

মায়ের সঙ্গে অন্য পুরুষকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল ৬ বছরের ছোট্ট মেয়েটি। এমন দৃশ্য মেয়ে দেখে ফেলাটা মেনে নিতে পারেনি মা ও তার প্রেমিক। ছোট্ট মেয়েকে খুন করে তারা। পূর্ব দিল্লির গাজিপুরের ঘটনা। পুলিশ প্রতিবেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁরাই জানিয়ে দেন ওই মহিলার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সুধীরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। দ্রুত মা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। আর তাতেই বেরিয়ে আসে সত্যিটা।

পুলিশের কাছে মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত মা স্বীকার করে পেশায় গরুর গাড়ির চালক স্বামীকে লুকিয়ে সুধীরের সঙ্গে মিলিত হত সে। গত বুধবার সন্ধেয় বাড়ি ফিরে কাছের একটি মদের ঠেকে মদ্যপান করতে যান তার স্বামী। এই সুযোগে তাদের বাড়িতে হাজির হয় প্রতিবেশি সুধীর। ওই মহিলার ২ ছেলে। একটির বয়স ২ ও অন্যটির ৪। তারা দুজনে টিভি দেখতে মত্ত ছিল। সেই সুযোগে অন্য ঘরে ওই মহিলার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয় সুধীর। আর সেই আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেলে ৬ বছরের মেয়ে।


বয়স কম হলেও যা হচ্ছে তা হওয়া উচিত নয় তা বুঝতে সময় নেয়নি সে। সবকথা বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বলতেই দু’জনে বুঝতে পারে তাদের এতদিনের লুকিয়ে রাখা সম্পর্ক এবার ফাঁস হওয়ার মুখে। তাই প্রমাণ লোপাট করতে মেয়েকে নিয়ে প্রতিবেশির ছাদে ওঠে দুজনে। মা পিছমোড়া করে মেয়েকে চেপে ধরে। আর ধারালো ছুরি দিয়ে ছোট্ট মেয়েটার গলার নলি কেটে দেয় সুধীর।

এরপর সুধীর চম্পট দেয়। আর মা কিছু জানি না গোছের ভাব করে প্রতিবেশিদের ডেকে মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুলিশি জেরার মুখে দুজনেই অপরাধ কবুল করে পুরো ঘটনা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেয়।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button