National

বিয়ের আগে ছবি তুলতে গিয়ে গভীর জলে হাবুডুবু খেলেন বরকনে

প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট নতুন প্রজন্মের কাছে বিয়ের মতই আকর্ষণীয় এক মুহুর্ত। কিন্তু তাতে বিপত্তিও কম হয়না। যেমন এক্ষেত্রে নাকানিচোবানি খেলেন বরকনে।

প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট বিয়ের ঠিক আগেই রেখেছিলেন ২ জনে। ফটোশ্যুট সেরে তার ১ দিন পর বিয়ের মণ্ডপে ২ জনের ফের দেখা হবে। এমনটাই স্থির হয়েছিল।

প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট করতে ২ জনে হাজির হয়েছিলেন একটি প্রকৃতি ঘেরা অপরূপ পরিবেশে। যে ব্যাকগ্রাউন্ডে নতুন জীবনে পা রাখতে চলা বরকনে হারিয়ে যাবেন ক্যামেরার সামনে। ছবি যাতে খুব সুন্দর হয়, বেশ রোমাঞ্চকর হয় সেজন্য কনে একটি জলাধারের একদম কানায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

এই জলাধারটি একটি খনি থেকে তৈরি। খনির খনন শেষ হওয়ার পর সেখানে জল ভরে গেছে। ফলে তার গভীরতা নেহাত কম নয়।

তারই কানায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় হঠাৎই গেল পা হড়কে। কনে গিয়ে পড়লেন সটান ৫০ ফুট গভীর সেই জলাশয়ে। কনেকে তলিয়ে যেতে দেখে সেখানে লাফ দেন হবু বর।

একদম সিনেমার পর্দার নায়কের মতই হবু স্ত্রীকে বাঁচাতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। এদিকে বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেন দমকলকর্মীরা। তাঁরাই অনেক চেষ্টার পর জল থেকে ২ জনকে তুলে আনেন।

কনে পায়ে বড় আঘাত পেয়েছেন বলে জানানো হয়। ফলে আপাতত বিশ্রাম। কোনও বিয়ে নয়। এই ঘটনায় বিয়েও গেছে পিছিয়ে। ৩ মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।

জলে হবু স্ত্রীকে বাঁচাতে লাফ দেওয়া বর অবশ্য সুস্থ আছেন। তবে তাঁদের স্মৃতি করে রাখার ওই প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট কিন্তু অন্যভাবে তাঁদের সারাজীবনের স্মৃতির সঙ্গী হয়ে রইল। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কোল্লাম জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *