National

সারারাত তুমুল বৃষ্টিতে জলের তলায় নিজামের শহর

রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে ভেসে গেল নিজামের শহর। কদিন আগেই গোটা শহরটা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। তা ঠিক হওয়ার আগেই ফের বৃষ্টি আছড়ে পড়ল শহরে।

হায়দরাবাদ : সারারাত ধরে চলল অঝোরে বৃষ্টি। যা কার্যত কোনও সময় তা থামার বা কমার নাম নিল না। এমনই এক ভয়ংকর রাত কাটালেন নিজামের শহর বলে পরিচিত হায়দরাবাদের বাসিন্দারা।


কদিন আগেই শহরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে দুর্যোগ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়েছে হায়দরাবাদে। গত ১৩ অক্টোবর যে বৃষ্টি শহরে রেকর্ড হয়েছে তা ইতিপূর্বে হায়দরাবাদে কখনও হয়নি।

যে বৃষ্টিতে রাস্তায় ভাসতে দেখা গেছে মানুষকে। ভাসতে দেখা গেছে গাড়িকে। শহরের অধিকাংশ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। ওই বৃষ্টিতে ৫০ জন মানুষের প্রাণ যায়।



কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, ফসল নষ্ট হয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা মিলিয়ে। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে এখনও ছন্দে ফেরেনি ২ রাজ্য। তার আগেই ফের শনিবার রাতভর বৃষ্টি হল হায়দরাবাদে।

রাতভর যে বৃষ্টি সেখানে হয়েছে তা এককথায় ছিল আতঙ্কের। অনেকেই সারারাত ২ চোখের পাতা এক করতে পারেননি। অনেক বাড়িতেই জল ঢুকে গেছে। বহু মানুষ একতলা ছেড়ে দোতলায় বা ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে নামার উপায় নেই।

নিচে অনেক জায়গায় এক মানুষও জল রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে গৃহপালিত ও রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশুদের। রাস্তার ওপর দিয়ে স্রোতের মত জল বইছে। বৃষ্টিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতির ছোট ছোট ভিডিও বা ছবি পাঠাচ্ছেন। যা দেখে অনুমেয় যে সারারাত কি প্রবল তাণ্ডব বয়ে গেছে শহরে ওপর দিয়ে।

এদিনের বৃষ্টিও বহু গাড়িকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে মোচার খোলের মত। এই এক রাতেই ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়। গত মঙ্গলবার একদিনে রেকর্ড হয়েছিল ১৯০ মিলিমিটার। সেটাই ছিল এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। এদিন তার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে বৃষ্টি।

আবহাওয়া দফতর এর মধ্যেও খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারেনি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস হল রবিবারও সারাদিনে হায়দরাবাদ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হবে।

কোথাও মাঝারি বৃষ্টি তো কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button