National

ভোটে হারা প্রার্থীকে ২১ লক্ষ টাকা উপহার

ভোটে হারার পর ২১ লক্ষ টাকা উপহার হিসাবে পেলেন এক ব্যক্তি। হারা প্রার্থীর হাতে ২১ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা।

জয়পুর : চমকপ্রদ হলেও সত্যি। ভোটে হারার পর যে গ্রামবাসীদের তরফ থেকে পুরস্কার জোটে তার উদাহরণ হাতেনাতে পাওয়া গেল।

ছিল গ্রামের সরপঞ্চ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ২ প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান ছিল খুবই কম। মাত্র ৮৪ ভোটে হারেন মুকুন্দ দেওয়াসি নামে এক ব্যক্তি। হারেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুন্দরী দেবীর কাছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই হারের পর সরপঞ্চ পদে বসেন সুন্দরী দেবী। এদিকে হারলেও তাঁকে অনেকে ভোট দেওয়ায় একটি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভোজসভার আয়োজন করে মুকুন্দ।

সেই ভোজসভায় গ্রামের সকলকে নিমন্ত্রণ করেন তিনি। ৮৪ ভোটে যখন হেরেছেন তখন অনেকেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের জন্য তিনি কিছু করতে চান। তাই ভোটে হারলেও তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে ভোজসভার আয়োজন করেন গ্রামে।

সেখানে গ্রামের অনেকেই হাজির হন। সেখানে প্রথমে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তাঁকে ভোটদানের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান মুকুন্দ। তারপর তাঁদের মধ্যাহ্নভোজ খেয়ে যেতে বলেন।

ভোটে হারার পরও ভোটদানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে যে ভোজসভার আয়োজন মুকুন্দ করেন তা বিয়ে বাড়ির আয়োজনের চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলনা। এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল সেখানে।

এভাবে তাঁদের ডেকে খাওয়ানো এবং ভোটদানের জন্য ধন্যবাদ জানানোর এই আয়োজনে অনেক গ্রামবাসী খুশি হন। তাঁরা স্থির করেন তাঁরাও মুকুন্দের জন্য কিছু করবেন।

মুকুন্দকে উপহার দিতে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। যে যাঁর সামর্থমত অর্থ প্রদান করতে থাকেন। মুকুন্দের এক বন্ধু শ্যাম চৌধুরী ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা প্রদান করেন।

এছাড়া বিদায়ী সরপঞ্চ ভানারাম দেন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন জন অর্থ প্রদান করেন। যেটা মোট দাঁড়ায় সেটা নেহাত কম নয়। সব মিলিয়ে ২১ লক্ষ টাকা জমা হয়।

এই ২১ লক্ষ টাকা গ্রামবাসীরা তাঁদের তরফ থেকে উপহার হিসাবে মুকুন্দ দেওয়াসির হাতে তুলে দেন। গ্রামের কয়েকজন বয়স্ক মানুষের হাত দিয়ে এই উপহার অর্থ মুকুন্দ ও তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রামবাসীদের এই ভালবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন মুকুন্দ ও তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুরের নানন গ্রাম পঞ্চায়েতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *