National

ঘুমন্ত মা-বাবার ঘরে আগুন দিয়ে চম্পট ছেলে, ঝলসে মৃত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা

দাউ দাউ করে জ্বলছে ঘর। আর ঘরের ভিতর প্রবল দগ্ধ যন্ত্রণায় কাতর আর্তনাদ করছেন এক প্রবীণ দম্পতি। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন এক যুবক। পরে ৩ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দম্পতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় অভি‌যোগের আঙুল উঠেছে মৃত দম্পতির ছোট ছেলের দিকে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে মা-বাবাকে বাঁচানো দূরের কথা। অভিযোগ, উল্টে তাঁদের ঘরে আগুন লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় সে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম দিল্লির মোতিনগর এলাকায়।

শুক্রবার মাঝরাতে হঠাৎ পুরুষ কণ্ঠের চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবেশিদের। আবাসনের একতলার বাসিন্দা বৃদ্ধ ছেদিলালের বাড়ির সামনে আসতে ভয়ানক দৃশ্য চোখে পড়ে তাঁদের। দেখেন, ঘরের ভিতর আগুনে পুড়ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ ছেদিলাল, তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী এবং তাঁদের ভাড়াটে বিনোদ। তড়িঘড়ি আগুন নিভিয়ে ঝলসে যাওয়া ৩ জনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তাঁরা। সেখানে বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাড়িওয়ালা ও তাঁর স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম ভাড়াটের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ভাড়াটে বিনোদ পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ বৃদ্ধ দম্পতি ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সুযোগে ঘরে আগুন লাগিয়ে চম্পট দেয় তাঁদের ছেলে। অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও ঝলসে যান। মা-বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে ছুটে আসেন মৃত দম্পতির আরেক ছেলে। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। সে প্রায়ই মা-বাবাকে মারধর করত। তাঁদের থেকে জোর করে টাকা কেড়ে নিত। সেই মা-বাবাকে পুড়িয়ে মেরেছে বলে দাবি করেন দম্পতির বড় ছেলে। এই বিষয়ে বড় ছেলের সঙ্গে একমত প্রতিবেশিরাও। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *