World

জেলে বন্দিদের মধ্যে বিছানা জ্বালিয়ে তুমুল লড়াই, ৬৮ জনের মৃত্যু

জেলবন্দিদের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ে মৃত্যু হল ৬৮ জনের। তাণ্ডব সামাল দিতে পুলিশ হিমসিম খায়। ১২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

ফের জেলবন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এল। যা ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী চেহারা নিল। জেলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটায় বন্দিরা। একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে। এমনকি যে বিছানায় শোয় তাতে আগুন ধরিয়ে তা দিয়েও চলল লড়াই।

ম্যাট্রেস দেওয়া হয় বন্দিদের শোওয়ার জন্য। সেই ম্যাট্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। জেলের একটা বড় অংশ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

২টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এতটাই ভয়ানক ছিল যে তা ৬৮ জন বন্দির প্রাণ কেড়ে নেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬৮ জনের। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের কালঘাম ছুটে যায়।

বন্দিদের তাণ্ডবে লাগাম দিতে দীর্ঘ সময় হিমসিম খায় খোদ পুলিশ ফোর্স। ১২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে ইকুয়েডর-এর গুয়াকুইল শহরের একটি সংশোধনাগারে। এই সংশোধনাগারের প্যাভিলিয়ন ২-তে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে মোট বন্দি রয়েছে প্রায় ৭০০ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হওয়া এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে জেলেই বন্দি থাকা ২টি নিষিদ্ধ মাদক চোরাচালানকারী গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে। যে লড়াই তাদের জেলের বাইরেও রয়েছে, তা জেলের মধ্যেও হয়।

যদিও এই ঘটনা প্রথম নয়। মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে জেলের মধ্যে হাতাহাতি, সংঘর্ষ নতুন ঘটনা নয়। ইকুয়েডর-এ এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চলতি বছরেই এখনও পর্যন্ত জেলে হওয়া সংঘর্ষে ৩০০ জনের ওপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *