World

সততার দোকানগুলিতে কিনতে আসা মানুষের সততাই আসল কথা

এ দোকানে কেউ ক্রেতাদের ওপর নজরদারির জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন না। দাঁড়িয়ে তো থাকেন না, এমনকি দোকানেও কেউ থাকেন না। অথচ সব পসরা সাজানো থাকে ক্রেতাদের জন্য।

এ দোকানে কেউ জিনিস কিনতে এলে তিনি দোকানে কোনও বিক্রেতাকে দেখতে পাবেন না। অথচ নানা পসরা ঢেলে সাজানো থাকে তাকে তাকে। যেখান থেকে ক্রেতারা নিজেদের পছন্দ মত জিনিস তুলে নেন বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।

এসব দোকান মূলত হয় দুগ্ধজাত পণ্যের পসরায় সাজানো। যার মধ্যে থাকে চিজ, দুধ, মাখনের মত জিনিস। সেইসঙ্গে থাকে মধু, পাউরুটির মত পসরাও। তবে সবই ক্রেতাদের সামনে রাখা থাকে।

যে কেউ গিয়ে সেখান থেকে পছন্দের জিনিস তুলে নিতে পারেন। তাঁদের ওপর নজরদারির জন্য দোকানে কেউ দাঁড়িয়ে থাকেন না। এমনকি দোকানে কেউ কোথাও থাকেন না। চাইলে ক্রেতারা পছন্দের জিনিস নিয়ে দিব্যি বেরিয়েও যেতে পারেন। কেউ ধরার জন্য নেই।

এই দোকানগুলি মূলত হয় কৃষকদের নিজস্ব। কৃষকরা তাঁদের পণ্য দোকানে সাজিয়ে রেখে চলে যান নিজেদের কাজে। দোকান ফাঁকা পড়ে থাকে। কিন্তু এখানেই আসল ট্যুইস্ট।

এ দোকানে ক্রেতারা এসে নিজেদের পছন্দের জিনিস তুলে নেন। তারপর নিজেরাই কত দাম হল তা যোগ করে দেখে নেন। এবার সেই অঙ্কের টাকা দোকানে রাখা একটি বাক্সে ফেলে দিয়ে চলে যান। এভাবেই সকলে দাম মেটান।

সুইৎজারল্যান্ডে সুইস আল্পসের মাঝের এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এমন দোকান রয়েছে। যেখানে ক্রেতাদের সততাই হল আসল কথা। এটাও প্রমাণিত যে ক্রেতারা এতটাই সৎ হন যে তাঁরা যা জিনিস নেন সেই টাকা গুনে গুনে মিটিয়ে দিয়ে যান। এরই নাম সততা।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *