State

সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে টানা কদিন কাটাতে চান রাজ্যপাল

রাজ্যের বাম শাসনের পালাবদলে যে ২টি ইস্যু বড় ভূমিকা নিয়েছিল তা অবশ্যই সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক উত্থানের কাহিনি লিখে দিয়েছিল রাজ্যের এই ২ ভূখণ্ড। সেই সিঙ্গুরেই এবার হাজির হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল এও জানান তিনি সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে টানা থাকতে চান। সেখানকার সত্য জানতে চান। রাজ্যপালের সিঙ্গুর যাওয়া নিয়ে তৃণমূল সরকারের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল বলেন, যাঁরা আটকানোর চেষ্টা করেন, তাঁরা কিছু চাপা দিতে চান। আর তিনি এখানে থেকে সেই সত্যটা জানতে চান।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘেরাও হওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে বার করে আনার সময় থেকেই রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাত সামনে এসে পড়ে। তারপর বিভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের কার্যকলাপ নিয়ে, মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। রাজ্যপাল রাজ্যে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন। তা নিয়েও সরকার-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব সামনে আসে। ২টি বৈঠকের কোনওটিতেই মন্ত্রীরা তো বটেই, অধিকাংশ আমলাও যোগ দেননি। তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি রাজ্যপাল তাঁর সীমা লঙ্ঘন করছেন বলে রাজ্যের দাবি উড়িয়ে রাজ্যপাল জানান তিনি সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকেই কাজ করছেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না করে রাজ্যপালকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। রাজ্যে তাঁরা নির্বাচিত সরকার। কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচিত। কিন্তু সেখানে কিছু মনোনীত ব্যক্তি ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করছেন। এটা কেন্দ্রেরও নজর রাখা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা যে রাজ্যপালই ছিলেন তা মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button