World

দোকানে মশলার শিশি তুলতেই ক্রেতার দিকে তেড়ে এল অতিকায় পাইথন

দোকান থেকে মশলার শিশি কেনার জন্য সরাতেই ক্রেতার দিকে তেড়ে এল একটি বিশাল পাইথন। দৃশ্য দেখে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া অবস্থা বাকিদের।

সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে সিনেমার এক বিখ্যাত গানের কলি ছিল তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত! গুপী-বাঘা সত্যিই জানত না যে যে ঘরে তারা লুকিয়ে ঢুকেছে সেখানে বসে আছে মূর্তিমান বাঘ।

সে ছিল সিনেমার কল্পিত কাহিনি। কিন্তু তেমনই এক বাস্তব ঘটনার মুখোমুখি হলেন এক মহিলা। তিনি গিয়েছিলেন সাংসারিক প্রয়োজনের জিনিস কিনতে।

সুপারমার্কেট জুড়ে বিভিন্ন সেলফ বা তাকে সাজানো নানা জিনিস। তাঁর দরকার ছিল কিছু মশলার। ফলে তিনি মশলা যে সেলফে সাজানো ছিল সেখানে গিয়ে একটি মশলার শিশি তুলে নেন কিনবেন বলে। কিন্তু মশলার শিশি সরাতেই যা হল তাতে তাঁর অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হয়।

শিশিটি তুলে ট্রলিতে রাখতে যেতেই শিশি সেখানে রাখা ছিল তার পিছন থেকে মুখ বার করে একটি আস্ত পাইথন। ডায়মন্ড পাইথন প্রজাতির পাইথনটি সেখান থেকে মুখ বাড়িয়ে সটান এগিয়ে আসে ক্রেতার দিকে।

আশপাশের লোকজন হৈহৈ করে ওঠেন। বেশ কয়েকজন দ্রুত মোবাইলে তার ভিডিও করে ফেলেন। যা এখন ইউটিউব থেকে অন্য সোশ্যাল সাইটে ঘুরছে। পাইথনটি লম্বায় ১০ ফুট।

ক্রেতা ওই মহিলা জানিয়েছেন পাইথনটি মুখ বাড়িয়ে তাঁর থেকে তখন মাত্র ৮ ইঞ্চির দূরত্বে চলে আসে। অন্য কেউ হলে আতঙ্কে যে কোনও কিছু হতে পারত। তবে কাকতালীয়ভাবে ওই মহিলা নিজেই সাপ পাকড়াও করতে দক্ষ।

তিনি সাপটিকে দেখেও ঠান্ডা থাকেন। তারপর সেখান থেকে সরে সুপারমার্কেটের কর্মীদের জানান যে একটু অপেক্ষা করতে। তিনি সাপটিকে ধরে নেবেন।

মহিলার বাড়ি খুব কাছেই। দ্রুত সেখান থেকে সাপ ধরার ব্যাগ ও অন্য জিনিসপত্র নিয়ে তিনি ১০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসেন। তারপর সহজেই পাইথনটিকে পাকড়াও করে কাছের জঙ্গলে ছেড়ে দেন।

কীভাবে ওই পাইথন দোকানের মশলার সেলফের পিছনে এল তা অজানা। তবে ওই মহিলার অনুমান ওটি পুরুষ পাইথন। যে এক স্ত্রী পাইথনের খোঁজ ঘুরছে।

ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির শহরতলীতে। অনেকগুলি বিদেশি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এই খবর হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *