Entertainment

যে কোনও দিন বেকার হয়ে যেতে পারেন, কেন এমন আতঙ্কে ভুগছেন অমিতাভ বচ্চন

বেকার হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক তো সব মানুষেরই কাজ করে। কর্মহীন থাকাটা কারও কাম্য নয়। অমিতাভ বচ্চনেরও নয়। আর তা নিয়ে তিনি রীতিমত চিন্তায় আছেন।

অমিতাভ বচ্চন কাজ হারিয়ে বেকার হওয়ার ভয়ে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। আর তা তিনি নিজেই স্বীকার করলেন। অমিতাভ বচ্চনের বয়স ৮০ পার করেছে। এমনটা মনে হতেই পারে যে তাঁর বয়স হয়েছে বলে তাঁকে হয়তো আর কাজে নিতে কেউ চাইবেন না। কিন্তু এমনটা একেবারেই নয়। আর সেভাবে কাজ হারানোর ভয়ও অমিতাভ বচ্চন পাচ্ছেন না। তাহলে কিসের ভয়?

অমিতাভ একটি কুইজ ভিত্তিক টিভি অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। সেখানেই তিনি বিটেক পাঠরত এক প্রতিযোগীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁকে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় কিনা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

প্রশ্নের উত্তরে ওই প্রতিযোগী জানান তাঁদের কোর্সে পদে পদে এআই নিয়ে পড়তে হচ্ছে। ওই প্রতিযোগী অমিতাভ বচ্চনকে প্রশ্ন করেন, প্রথমে মনে করা হচ্ছিল এআই শ্রম নির্ভর কাজে যুক্ত মানুষজনের জন্য ভয়ংকর হবে। তাঁদের কাজ যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যেখানে সৃজনশীলতা লাগে সেই কাজই এআই বেশি ভাল করছে। এ বিষয়ে অমিতাভ বচ্চন কি মনে করেন তা জিজ্ঞেস করেন প্রতিযোগী।

অমিতাভ উত্তরে জানান, তাঁকে তো একটি ঘরে বসিয়ে ৪০ থেকে ৪৫টি ক্যামেরায় নানা প্রান্ত থেকে ছবি তোলা হয়েছিল। তাঁকে এদিক ওদিক ঘুরতে ও নানা ভঙ্গি করতে বলা হয়েছিল। পরে তিনি জানতে পেরেছিলেন ওটা এআইয়ের প্রয়োজনে করা।

এখন সিনেমায় এআই-এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। একদিন এমন আসতে পারে যেদিন তাঁদের জগতে আর কাজ করার জন্য কাউকে লাগবে না। সবটাই এআই সামলে দেবে।

এমনকি হলোগ্রাম ব্যবহারের বিষয়টিও সামনে আসে। ওই প্রতিযোগীই বলেন এমনও হতে পারে যে অমিতাভ বচ্চন নন, তাঁর হলোগ্রামকে সিটে বসিয়েই এই সঞ্চালনার কাজটা করে দেওয়া হল। অমিতাভ বচ্চনকে লাগলোই না।

এই বক্তব্য মেনে নিয়ে অমিতাভ বচ্চন বলেন তিনি এই নিয়ে চিন্তাতেও আছেন। যে কোনও দিন এআই তাঁর কাজ কেড়ে নিয়ে তাঁকে বেকার করে দিতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *