National

টিকা নেওয়া এড়াতে গাছে চড়ে বসে রইলেন এক ব্যক্তি

কিছুতেই তিনি করোনা প্রতিষেধক টিকা নেবেন না। টিকা নেওয়া থেকে দূরে থাকতে গাছে চড়ে বসলেন এক ব্যক্তি। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে গাছ থেকে নামানো যায়নি।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কথা খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেছে। টিকা নিতে সমর্থ এমন ১০০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া এখন দেশের সব রাজ্যসরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কড়া নাড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।


তেলেঙ্গানায় এই অভিযান শুরুর পর স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল হাজির হয়েছিল সঙ্গরেড্ডি জেলার রেজিন্থাল গ্রামে। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা খোঁজ করেন কারা টিকা নেননি তাঁদের।

যাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নেননি হিসাবে পেয়েছেন তাঁদের সেখানেই টিকাকরণ করা হয়েছে। এভাবেই তাঁরা একটি বাড়িতে হাজির হন যেখানে বাড়ির সবচেয়ে বৃদ্ধ মানুষটি এককথায় টিকা নিয়ে নেন। কিন্তু তাঁর ছেলে জানিয়ে দেন তিনি কিছুতেই টিকা নেবেন না।



গউসুদ্দিন নামে ওই ব্যক্তি টিকা নিতে বেঁকে বসলে তাঁর বাবা হায়দর আলি সহ বাড়ির অন্যরা তাঁকে বোঝাতে শুরু করেন। স্বাস্থ্যকর্মীরাও বোঝান। এমনকি তাঁকে বোঝানোর জন্য পড়শিরাও হাজির হন। কিন্তু টিকা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন গউসুদ্দিন।

এদিকে চাপ ক্রমশ বাড়ছে দেখে তিনি আর ঝুঁকি না নিয়ে সোজা কাছের একটি গাছে চড়ে বসেন। সকলে অনেক করে তাঁকে নামতে বললেও তিনি গাছ থেকে নামেননি।

স্বাস্থ্যকর্মীরা গাছের তলায় ১ ঘণ্টার ওপর অপেক্ষা করেন গউসুদ্দিনকে টিকা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি নামেননি। অবশেষে সকলেই বুঝিয়ে বুঝিয়ে হাল ছেড়ে দেন।

গাছের মগডালে বসে থাকা গউসুদ্দিন শেষ পর্যন্ত না নামায় একসময় চলে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সব ফাঁকা হতে তিনি যখন নিশ্চিত হন যে তাঁকে টিকা দেওয়ার আর চেষ্টা হবে না, তখন গউসুদ্দিন নিচে নেমে আসেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button