Lifestyle

স্ত্রীকে পিঠে নিয়ে জ্বলন্ত কয়লার ওপর হাঁটা, প্রাচীন প্রথার আড়ালে লুকিয়ে অগাধ বিশ্বাস

এ প্রথা যন্ত্রণাদায়ক। এমন প্রথার যৌক্তিকতা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। তবে প্রশ্ন যাই উঠুক না কেন এমন এক প্রথাই চলে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।

সে ভারতীয় ভূখণ্ড হোক বা বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্ত, প্রথা, রীতি, প্রাচীন ধারনা, বিশ্বাস, কমবেশি সর্বত্রই বর্তমান। প্রতিটি প্রান্তেই রয়েছে নিজস্ব রীতি রেওয়াজ। এমনই এক প্রথা এটি। যা মূলত একটি অংশের আদিবাসী মানুষজন মেনে চলেন।

যেখানে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে পিঠে নিয়ে হাঁটবেন। তবে শুধু পিঠে নিয়ে হাঁটলেই হবেনা, হাঁটতে হবে জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে।

অনুমেয় যে ওই ব্যক্তির পিঠে স্ত্রী রয়েছেন। পায়ের তলা জ্বলে যাচ্ছে জ্বলন্ত কয়লার আগুনে। অথচ তাঁর লাফিয়ে ওঠার উপায় নেই। তাহলে স্ত্রী পড়ে যাবেন। ঘটবে বড় দুর্ঘটনা। ফলে সহ্য করাই একমাত্র পথ।

চিনের কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই রীতি প্রচলিত। বিশ্বাস করা হয় সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে পিঠে নিয়ে স্বামী যদি ওই জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন তাহলে স্ত্রীকে প্রসব যন্ত্রণা সেভাবে সহ্য করতে হয়না।

আবার সদ্য বিবাহের পর স্বামী স্ত্রীকে পিঠে নিয়ে এই রীতি মানেন নতুন জীবনে প্রবেশের সময়। এমনই বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই রীতির ভিত।

যে রীতি যন্ত্রণাদায়ক, যার যৌক্তিকতা নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে, কিন্তু তা বিদ্যমান কেবল বিশ্বাসে ভর করে। এমন নানা প্রথাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হয় যা কেবল বিশ্বাসে ভর করে টিকে আছে বছরের পর বছর। যেমন এই স্ত্রীকে পিঠে নিয়ে জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হাঁটার রীতি।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *