World

তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৭°, গরমে দগ্ধ হয়ে মৃত ৪০০

আকাশপথ ছেড়ে ঝুপ ঝুপ করে নিচে পড়ছে শয়ে শয়ে মৃতদেহ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রাপ্তবয়স্ক। এমনকি গাছের আনাচে কানাচে ঝুলছে প্রাণহীন দেহ। সাধারণত ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় থাকতে বেশি পছন্দ করে তারা। অন্ধকার ছাড়া বার হয়না আস্তানা ছেড়ে। তাহলে কেন এমন মহামারির মত এক লহমায় ঝরে গেল এতগুলো বাদুড়ের প্রাণ?

আসলে জানুয়ারির শুরু থেকেই একদিকে যখন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছিল উত্তর গোলার্ধ, তখন উল্টো চিত্র দক্ষিণে। পারদ ছুঁয়েছে ৪৭ ডিগ্রির ঘর। গত ৮০ বছরে সূর্যের এমন চড়া মেজাজ দেখেননি দক্ষিণ গোলার্ধের অন্যতম মহাদেশ অস্ট্রেলিয়াবাসী। সূর্যের সেই প্রখর তেজের কারণেই আরও এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সিডনিবাসী। প্রবল গরমে সেখানকার মানুষ কোনওরকমে টিকে গেলেও টিকতে পারল না কয়েকশো বাদুড়। গরমে ঝলসে একদিনে মৃত্যু হল সিডনির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৪০০ বাদুড়ের। সিডনির ক্যাম্পবেলটাউন ‘ফক্স ব্যাট’-এর রাজ্য নামেই পরিচিত। প্রবল গরমে ঠান্ডা আশ্রয় না পেয়েই যে তাদের মৃত্যু হয়েছে, এবিষয়ে নিশ্চিত পরিবেশপ্রেমীরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সিডনিবাসী অবাক চোখে দেখেন আকাশ থেকে ঝুপ ঝুপ করে মাটিতে এসে পড়ছে কালো মত কিছু। কি ওগুলো? উৎসুকভাবে কাছে যেতেই অবাক হয়ে গেলেন তাঁরা। একের পর এক বাদুড় পড়ে আছে রাস্তা, ফুটপাথ, ঘাস জমি বা গাছের ডালে। আরও কয়েকশো বাদুড়ের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সেখানকার পরিবেশপ্রেমীরা। মূলত ‘হিট স্ট্রোক’ থেকে বিশাল সংখ্যক বাদুড়ের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। মাত্রা ছাড়া গরম প্রাণিদের এইভাবে জীবন কেড়ে নেওয়ায় স্বভাবতই উদ্বিগ্ন তাঁরা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *