SciTech

অ্যান্টার্কটিকা মোটেও বরফের রাজ্য ছিলনা, কি ছিল জানলে অবাক হতে হয়

অ্যান্টার্কটিকা নামটা শুনলেই মনে হয় কনকনে ঠান্ডার এক বরফের রাজ্য। মনে হওয়াটা ভুল নয়। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকা মোটেও তা ছিলনা।

কেউ যদি অ্যান্টার্কটিকায় হাজির হন তাহলে নিশ্চয়ই তিনি সেখানকার অতি ভয়ংকর ঠান্ডার মোকাবিলার জন্য সেই ধরনের বিশেষ গরমের পোশাক নিয়ে যাবেন। ওখানে যাঁরা গবেষণার কাজ করেন তাঁরাও এমনই গরমের পোশাক পরেন।

কিন্তু যদি বলা হয় একটা সময় ছিল যখন অ্যান্টার্কটিকায় ঘাম হত! গরমে বেশ কষ্ট হত সেখানে। হতে পারে এখন কথাটা প্রলাপ বকার শামিল। কিন্তু একটা সময় তাই ছিল।

অ্যান্টার্কটিকায় যে গরম পড়ত, এখন অনেক শহরেই তেমন গরম দেখা যায়। সে সময় অ্যান্টার্কটিকা ছিল সবুজ গাছে ভরা। সেসব গাছের জীবাশ্ম এখনও অ্যান্টার্কটিকায় দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি সেখানে ডাইনোসর ঘুরে বেড়াত বলেও জানা যায়।

অ্যান্টার্কটিকায় এমন গরম পরিবেশ, এমন সবুজ বনানী এবং নানা অতিকায় জীব ঘুরে বেড়াত এখন থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগে। তেমনই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।


৪ কোটি বছর আগেই অ্যান্টার্কটিকা কোনও বরফের রাজ্য ছিলনা। ক্রমে সেখানে আবহাওয়া বদলায়। সেখানে পরিস্কার জলের অতিকায় বরফের চাদর পড়তে শুরু করে এবং তা পুরু হতে থাকে।

তারপর এখন যা দেখা যাচ্ছে সেই রূপে পৌঁছয়। অ্যান্টার্কটিকা বরফের রাজ্য হয়ে যায়। সেখানে সবুজ বলে আর কিছুই থাকেনা।

এমনকি ঘন জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো জীবরাও সেখান থেকে উৎখাত হয়। এখন যে জীব দেখা যায় তারা নেহাতই প্রবল ঠান্ডায় বাস করে অভ্যস্ত প্রাণি। যে তালিকায় পেঙ্গুইন, সিলের মত প্রাণিরা রয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button