Entertainment

অমিতাভ বচ্চনের প্রথম ছবিতে পাওয়া পারিশ্রমিক শুনে অনেকেই হেসে ফেলতে পারেন

ভারতীয় সিনেমার প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব অমিতাভ বচ্চনের বয়স ৮০ হল। সেইসঙ্গে ৫৩ বছর পার হল অভিনয় জগতে। এই কিংবদন্তির প্রথম সিনেমায় উল্লেখযোগ্য ছিল পারিশ্রমিক।

ভারতীয় সিনেমা জগতে অমিতাভ বচ্চন একজন রক্তমাংসের অভিনেতাই নন, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। এই মুহুর্তে তিনি একটি বিজ্ঞাপন করলেও যা পারিশ্রমিক নেন তা চোখ কপালে তুলে দিতে পারে। এই মানুষটি কিন্তু প্রথম সিনেমায় অভিনয় করার জন্য যে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তা যে কোনও মানুষকে হতবাক করে দিতে পারে।

সিনেমায় অভিনেতা হিসাবে অমিতাভ বচ্চনের ডেবিউ সিনেমা ছিল সাত হিন্দুস্তানি। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমায় তাঁর চরিত্রটিও ছিল অন্যরকম।


তখন রাঁচি বিহারের অংশ। সেই রাঁচির এক কবি আনোয়ার আলি হিসাবে অমিতাভ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। যদিও বাস্তবে এমন কোনও কবি ছিলেন না। তিনি সিনেমার চরিত্র ছিলেন।


গোয়াকে পর্তুগিজদের হাত থেকে মুক্ত করতে ভারতের ৭ রাজ্য থেকে ৭ জন একত্র হন। এই নিয়েই সাত হিন্দুস্তানি সিনেমা। সেই সিনেমার জন্য অমিতাভ বচ্চন পেয়েছিলেন বেস্ট নিউকামার-এর পুরস্কার।

সিনেমাটি তৈরির শেষে সিনেমার পরিচালক খোয়াজা আহমেদ আব্বাস অমিতাভ বচ্চনের হাতে তাঁর পারিশ্রমিক তুলে দিয়েছিলেন। অমিতাভ ওই সিনেমায় অভিনয় করার জন্য হাতে পান ৫ হাজার টাকা।

যদিও জীবনে বারবার অমিতাভ বচ্চন স্বীকার করেছেন ওই ৫ হাজার টাকাটা খুব কম অঙ্ক হলেও সে সময় একজন ডেবিউ করা অভিনেতার জন্য খুব খারাপও ছিলনা। বরং তিনি বারবার বলে এসেছেন, পারিশ্রমিক যাই হোক, সেদিন যদি তিনি সাত হিন্দুস্তানি সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগটা না পেতেন তাহলে কেউ জানেনা তিনি আজ কি করতেন।

প্রসঙ্গত সে সময় সাত হিন্দুস্তানি হলে মুক্তি পাওয়ার আগে তার একটি ট্রায়াল শো হয়েছিল। যাতে সিনেমার পরিচালক বলিউড তারকা মীনা কুমারীকে আমন্ত্রণ জানান।

মীনা কুমারী সিনেমার ট্রায়াল শো দেখার পর আনোয়ার আলি-র চরিত্রে অভিনয় করা অমিতাভের তারিফ করেন। সেটা খুব বড় পাওনা ছিল সে সময় অমিতাভ বচ্চনের জন্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button